ডড্লে বলিলেন, “তাহা হইলে এখনই উহাকে একটা বন্দুক দিয়া রাখি, ‘ধাও'র উপরে গিয়া পুনর্ব্বার উহার সহিত আমার সাক্ষাৎ হুইবে, তৎপূর্ব্বে দেখা হইবার সম্ভাবনা নাই।”
মিঃ ডড্লে তৎক্ষণাৎ একটি কক্ষে প্রবেশ করিয়া একটি উৎকৃষ্ট পিস্তল ও কতকগুলি টোটা লইয়া আসিলেন, এবং তাহা সামওয়েলির সম্মুখে রাখিয়া বলিলেন, “এগুলি তুমি লইয়া যাও, বেন-হাসেন যেন জানিতে না পারে যে— তোমার কাছে হাতিয়ার আছে। খুব গোপনে রাখিবে। আমাদের আত্মরক্ষার জন্যও অস্ত্র-শস্ত্রের আবশুক হইতে পারে।”
স্পরফিল্ড বলিলেন, “পরমেশ্বর তোমাকে নিরাপদে রাখুন। তুমি নির্ব্বিঘ্নে জাঞ্জিবারে উপস্থিত হইয়াছ, এ সংবাদ না পাওয়া পর্য্যন্ত আমার মন স্থির হইবে না। সামওয়েলি, তুমি যদি কায হাসিল করিতে পার—তাহা হইলে তোমাকে অন্নবস্ত্রের জন্য আর কখন ভাবিতে হইবে না, একদম্ বড় লোক হইয়া যাইবে। কিন্তু যদি বিশ্বাসঘাতকতা কর—তাহা হইলে তোমার খোদাও তোমাকে রক্ষা করিতে পারিবেন না। খুব হুঁসিয়ার থাকিবে। নিমকহারামী করিলে কি রকম শাস্তি পাইতে হয়, তাহা ত জান, বেনার কথা কি এত শীঘ্র ভুলিয়াছ?”
সামওয়েলি বলিল, “না, সে কথা ভুলি নাই, আপনাদের কোন ভয় নাই। আমেদ বেন্-হাসেন আমার কিরূপ শক্র তাহা আপনারা জানেন না, তাহাকে জব্দ করিবার জন্যই আমি আপনাদের সাহায্য করিতে যাইতেছি। তবে আর নিমকহারামীর ভয় করিতেছেন কেন?—সে আমার ভাইকে খুন করিয়াছে, আমি তাহাকে খুন করিতে না পারিলে আমার মন স্থির হইবে না। আপনার দোস্ত মুহিবিদিতে ফিরিয়া আসিলে আপনি আমার বক্শিশের ব্যবস্থা করিবেন, কিন্তু স্থির জানিবেন, আমি বকশিশের লোভে এ কাযে হাত দিই নাই। প্রতিহিংসার আগুনে আমার কলিজা জ্বলিয়। যাইতেছে।”
মিঃ স্পরফিণ্ড বলিলেন, “তোমার কথা আমি বিশ্বাস করিলাম। যে অত্যা- চারের প্রতিফল দিতে না পারে সে কি মানুষ?”