আফ্রিকার কেপ্ টাউনের ‘গবর্মেণ্ট-হাউসে’ সেদিন বল-নাচের ধূম পড়িয়াছিল। এই নৃত্যোৎসবে কেপ্ কলোনির বহু সন্ত্রান্ত রাজকর্ম্মচারী যোগদান করিয়াছিলেন, মহিলাবর্গ প্রজাপতির ন্যায় বেশভূষায় মজলিসের শোভাবর্দ্ধন করিতেছিলেন। মজলিসে আনন্দের স্রোত বহিতেছিল। সেই সান্ধ্য মজলিসে যে সকল ইংরাজ-যুবক উপস্থিত ছিলেন, তাঁহদের মধ্যে ফিলিপ ডড্লে সর্ব্বাপেক্ষ অধিক সুপুরুষ, বিশেষতঃ রমণীর মনোরঞ্জনে তাঁহার কোন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না। এই যুবক নৌ-সেনাপতি এড্মিরাল রেড্ফর্ণের অধীনে লেফ্টেনাণ্টের পদে নিযুক্ত ছিলেন।
নিমন্ত্রিত নরনারীগণ লাট-প্রাসাদে সমাগত হইলে লাট সাহেব আগন্তুকগণের দিকে দৃষ্টিপাত করিয়া এড্মিরাল রেড্ফর্ণকে বলিলেন, “আজ যাহারা এখানে আমোদ-প্রমোদে যোগদান করিয়াছে, তাহাদের মধ্যে একটি ছোক্রার চেহারা আমার বড় ভাল লাগিতেছে, উহারই নাম বুঝি ফিলিপ ডড্লে? তোমার অধীনে ছোক্রা লেফ্টেনাণ্টগিরি করে না?”
এড্মিরাল রেড্ফর্ণ বলিলেন, “হাঁ মহাশয়, উহারই নাম ফিলিপ ডড্লে। ছেলেটির যেমন রূপ, সেইরূপ গুণ। কালে ও একজন ভাল যোদ্ধা হইবে; উন্নতিও করিবে। আপনি বুঝি উহার পরিচয় জানেন না? কাপ্তেন জ্যাক ডড্লেকে আপনার মনে পড়ে?—তাঁহার সহিত আপনার ত বেশ আলাপ ছিল।