—ল্যাম্পিয়ন তখন এতই অন্যমনস্কভাবে চলিতেছিল যে, ডড্লে সেখানে বসিয়া কার্য করিতেছেন—তাহা সে দেখিতে পাইল না। সে ডড্লের উপর হুমড়ি খাইয়া পড়িবার মত হইল, ডড্লেকে লক্ষ্য করিয়া সক্রোধে বলিল, “ওরে কদাকার জানোয়ার, তুই এখানে কেন? দূর হ এখান থেকে—” সঙ্গে সঙ্গে ডড্লের পৃষ্ঠে এক প্রচণ্ড পদাঘাত।
ডড্লের ইচ্ছা হইল—তিনি তৎক্ষণাৎ তাহার মুখে এক ঘুসি মারিয়া তাহার এক-পাটি দাঁত উপড়াইয়া দেন, কিন্তু তিনি বিপুল চেষ্টায় ক্রোধ দমন করিয়া প্রকৃতিস্থ হইলেন, এবং পুনর্ব্বার কার্য্যে মনঃসংযোগ করিলেন। ল্যাম্পিয়ন সেখান হইতে সিঁড়ির নিকট গিয়া আর কাপ্তেনকে দেখিতে পাইল না, কাপ্তেন তখন স্থানান্তরে গিয়াছিল। ল্যাম্পিয়ন সিঁড়ির নিকট দাঁড়াইয়া জাহাজের মেট্ কে বলিল, “কাপ্তেন কোথায়?—তাহার সহিত দেখা করিয়া বল, আমি দুই এক মিনিটের জন্য তাহার সহিত সাক্ষাৎ করিতে চাই, বিশেষ কোন কথা আছে।”
মেট্ কাপ্তেনকে ডাকিয়া আনিলে, কাপ্তেন ডাক্তার ল্যাম্পিয়নকে বলিল, গুড মর্ণিং ডাক্তার। আজ সকালে আমি আমার কেবিনে বসিয়াই খাইয়াছিলাম, এজন্য পূর্ব্বে আপনার সহিত দেখা হয় নাই, আবার গরম হইল না কি?”
ল্যাম্পিয়ন এ প্রশ্নের কোন উত্তর না দিয়া কাপ্তেনের হাত ধরিয়া তাহার কেবিনের দিকে চলিল। ডড্লে কাপ্তেনের কথা শুনিয়াছিলেন, কিন্তু তিনি তার কথার অর্থ বুঝিতে পারিলেন না। তাঁহার কৌতূহল বর্দ্ধিত হইল। এই কাপ্তেনই ল্যাম্পিয়নের নিকট কোন কার্য্যের জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকার দাবি করিয়াছিল, কাযটা কি, তাহা জানিবার জন্য তাঁহার প্রবল আগ্রহ হইলেও তিনি এই আগ্রহ পূর্ণ করিবার কোন উপায় দেখিলেন না। তিনি দেখিলেন, ল্যাম্পিয়ন কাপ্তেনকে সঙ্গে লইয়া তাহার কেবিনে প্রবেশ করিল। তাহাদের কি পরামর্শ হয়—তাহা শুনিবার জন্য তাঁহার মন অত্যন্ত চঞ্চল হইয়া উঠিল।
ল্যাম্পিয়ন কাপ্তেন সহ কেবিনে প্রবেশ করিয়া ভিতর হইতে দরজা বন্ধ করিল, ডড্লে তখন অদূরে দাঁড়াইয়া কার্য্য করিতেছিলেন। তিনি তাহাদের