লাট সাহেব বলিলেন, “ভারতে সে কাপ্তেনী করিত? ’৭১ অব্দে সেকন্দরাবাদ নগর হইতে সে লর্ড বেলামীর মেয়েটিকে ফুসলাইয়া বাহির করিয়া লইয়া গিয়াছিল না? আহা, বেচারা তেল্-এল্-কেবিরের যুদ্ধে মারা পডিয়ছিল— একথা বেশ মনে আছে।”
এড্মিরাল রেড্ফর্ণ সোৎসাহে বলিলেন, “হাঁ, ঠিক বটে, এ তাঁহারই পুত্র।”
লাট সাহেব বলিলেন, “বটে। বল কি? হাঁ, উভয়ের চেহারায় যথেষ্ট সাদৃশ্য আছে বটে। উহার পিতা তাহার সমসাময়িক যোদ্ধৃগণের মধ্যে অত্যন্ত সাহসী বীরপুরুষ ছিল। বেচারার দুর্ভাগ্যের কথা মনে হইলে দুঃখ হয়। ডড্লের কথা আমার বেশ মনে আছে। রেড্ফর্ণ, ছেলেটিকে দেখিয়া আমার বড় মমতা হইয়াছে, উহার সহিত একটু আলাপ করিতে ইচ্ছা হইতেছে।”
এড্মিরাল রেড্ফর্ণ বলিলেন, “তবে ত তাহার বেশ সুযোগ উপস্থিত। বিলম্ব করিলে উহার সহিত সাক্ষাতের সম্ভাবনা অল্প, কারণ উহাকে অতি অল্প দিনের মধ্যেই সমুদ্রযাত্রা করিতে হইবে।”
লাট সাহেব বলিলেন, “তাহা হইলে আজই উহাকে আমার সহিত দেখা করিতে বলিব, উহার পিতার খাতিরে আমি উহার সহিত আলাপ করিয়া উহাকে সম্মানিত করিব।”
অনন্তর লাট সাহেব তাঁহার একজন এডিকংকে ডাকিয়া নিম্নস্বরে তাহাকে কি আদেশ করিলেন। তখন এক দফা নাচ শেষ হইয়াছিল। যে সকল যুবক-যুবতী দীর্ঘকাল নৃত্য করিয়া পরিশ্রান্ত হইয়াছিলেন, তাঁহারা গল্পগুজব ও বিশ্রাম করিবার জন্য বারান্দার দিকে যাইতেছিলেন।—তাঁহাদের বিশ্রামের জন্য সেখানে আসনশ্রেণী নির্দ্দিষ্ট ছিল।
কয়েক মিনিট পরে পূর্ব্বোক্ত এডিকং ডড্লেকে সঙ্গে লইয়া লাট সাহেবের নিকট উপস্থিত হইল।
লাট সাহেব ডড্লেকে দেখিয়া তাহার করমর্দ্দন করিয়া সদয়ভাবে