এবার ল্যাম্পিয়ন একটু নরম হইয়া বলিল, “দেখ ভাই, আমাদের ঝগড়া করিয়া কোন লাভ নাই। যদি অনিষ্ট হয়, আমাদের উভয়েরই হইবে, সুতরাং আমাদের মঙ্গলের জন্য পরস্পর মিলিয়া-মিশিয়া এক পরামর্শে কায করাই সঙ্গত। এখন আর পিছাইবার উপায় নাই, যেরূপে হউক হাতের কায শেষ করিতেই হইবে।”
কাপ্তেন বলিল, “কে তোমাকে পিছাইতে বলিতেছে? বিপদের মধ্যে লাফাইয়া পড়িতেই-বা কে তোমার মাথার দিব্য দিতেছে? আমি কোন দায়িত্ব ঘাডে লইতে রাজী নহি। তুমি মন স্থির করিতে পারিতেছ না, কায শেষ করিতে অনর্থক বিলম্ব করিতেছ,এজন্য আমি ফাঁসের দড়ি গলায় পরিব— এরূপ তুমি আশা করিতে পারি না। সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকিয়াও যদি কায শেষ করিতে না পার ত সে দোষ কি আমার?”
ল্যাম্পিয়ন বলিল, “কি যে বল তার ঠিক নাই। আমার সঙ্কল্প স্থির আছে ইহা ত তুমি জান।”
কাপ্তেন বলিল, “তবে আর তর্কবিতর্কে কায নাই, এখন বল কায শেষ হইতে আর কয় দিন লাগিবে?
ল্যাম্পিয়ন বলিল, “আর তিন দিন। যদি কোনও ব্যাঘাত না ঘটে, তবে শুক্রবারই সব শেষ হইবে। কেমন, ইহাতে তোমার আপত্তি নাই ত?”
কাপ্তেন বলিল, “বেশ কথা, আমি ইহাতেই রাজী।—আমরা বন্দরে উপস্থিত হইবার পূর্ব্বেই গোলমাল থামিয়া যাইবে। ও কথা লইয়া আর কোন উচ্চবাচ্য হইবে না। এ সকল তুচ্ছ বিষয় লইয়া আন্দোলন-আলোচনার সুযোগ যত কম দেওয়া যায়, ততই ভাল।”
ল্যাম্পিয়ন বলিল, “ব্যাপারটা বুঝি খুব তুচ্ছ হইল?—কি সর্ব্বনাশ। তুমি কি এ রকম কায পূর্ব্বে আরও করিয়াছ?”
কাপ্তেন হাসিয়া বলিল, “এরকম তুচ্ছ কায পূর্ব্বেও আমার হাত দিয়া, হইয়াছে—একথা কি তোমাকে বলিয়াছি?—তুমি আগামী শুক্রবার এই শুভ