দিকে চাহিলেন, কিন্তু তিনি কোন কথা বলিবার পূর্ব্বেই ডড্লে পূর্ব্ববৎ মৃদু স্বরে বলিলেন, “মিস্ এরস্কাইন, আপনি বেশী জোরে কথা বলিবেন না, শুনিতে পাইলে বিপদ ঘটিবে।—অগ্রে বলুন,আমাকে কি চিনিতে পারিয়াছেন?”
মিস্ এরস্কাইন বলিলেন, “তুমি আমার নাম জান দেখিতেছি। তুমি কে? আমার নিকট তোমার কি আবশ্যক?”
ডড্লে বলিলেন, “আপনি আমাকে চিনিতে পারেন নাই, আমি লেফটেনাণ্ট ডড্লে। আমাকে ভাল করিয়া দেখিলে আপনি বোধ হয় আমার এই ছদ্মবেশে চিনিতে পারিবেন।
মিস্ এরাইন বলিলেন, “ডড্লে আপনি?—ব্যাপার কি? আমি কি স্বপ্ন দেখিতেছি?”
ডড্লে আর একবার চারিদিকে দৃষ্টিপাত করিয়া বলিলেন, “না, মিস্। স্বপ্ন নহে, সত্য। আমি আপনার প্রাণরক্ষা করিতে আসিয়াছি। আপনার জীবন কিরূপ বিপন্ন হইয়াছে, আপনার বিকদ্ধে কিরূপ ষড়যন্ত্র হইয়াছে, তাহা আপনি জানেন না, আব সে সকল কথা আপনাকে খুলিয়া বলিবারও সময় নাই। আপনার কেবিন কোন্ দিকে দয়া করিয়া বলিবেন কি?”
মিস এরস্কাইন তাঁহার কেবিনের অবস্থান নির্দ্দেশ করিয়া বলিলেন, “কিন্তু মিঃ ডড্লে, আমি যে——
ডড্লে বাধা দিয়া বলিলেন, “আস্তে মিস্, খুব আস্তে কথা বলুন। বেশী কিছু না বলাই ভাল। আমাদের চারিদিকে শত্রু। আপনি আজ রাত্রে আপনার কেবিনের সমুদ্রের দিকের গবাক্ষ খুলিয়া রাখিবেন, আমি যেরূপে পারি আপনাকে সংবাদ দিব। আপনার মামা আপনাকে ঔষধ দিলে তাহা খাইবেন না, না খাইবার কারণ জিজ্ঞাসা করিলে যাহা খুসী উত্তর করিবেন; কিন্তু সাবধান, ঔষধ যেন আপনার ওষ্ঠ স্পর্শ না করে।
মিস্ এরস্কাইন বলিলেন, “মিঃ ডড্লে, আপনার কথা বুঝিতে পারিলাম আপনার কথা শুনিয়া আমার মনে বড়ই আতঙ্ক হইল।—আপনি যে ভয়ানক কথা বলিতেছেন।” এখন