ডড্লে বলিলেন, “আপনার প্রাণরক্ষার জন্যই একথা বলিতে হইয়াছে। আজ রাত্রে জাহাজের সকল লোক নিদ্রিত হইলে আপনাকে সকল কথা খুলিয়া বলিব। তখন আপনি বুঝিবেন, আমি আপনাকে ঔষধ খাইতে বারণ করিয়া ভালই করিয়াছি। ঔষধ ত খাইবেনই না, ষ্টুয়ার্ড ভিন্ন অন্য কেহ আপনাকে কিছু খাইতে দিলে তাহাও স্পর্শ করিবেন না। আমি ছদ্মবেশী, —ইহা প্রকাশ হইলে আমরা উভয়েই মারা পড়িব। এই ছদ্মবেশের উপর আমাদের উভয়ের জীবন নির্ভর করিতেছে।”
ডড্লে আর কোন কথা না বলিয়া ধীরে ধীরে ডেকের অন্য অংশে চলিলেন।—তিনি মিস্ এরস্কাইনের নিকটে আর দুই-এক মিনিট থাকিলেই মহা বিপদে পডিতেন, হয় ত তাঁহার সকল সঙ্কল্প ব্যর্থ হইত। কারণ তিনি স্থানান্তরে যাইবার অব্যবহিত পরেই ডাক্তার ল্যাম্পিয়ন ও কাপ্তেন্ মিস্ এরস কাইনের নিকট উপস্থিত হইল। মিস্ এরস্কাইনের সহিত তাহাদের কি কথা হইল অদূরে দাড়াইয়া কার্য্য করিতে করিতে ডড্লে তাহা শুনিতে পাইলেন।
কাপেন টুপি খুলিয়া মিস্ এরস্কাইনকে অভিবাদন করিয়া বলিল, “আশা করি আপনি এখন অনেকটা ভালই আছেন। এত চেষ্টাতেও আপনার শরীর সুস্থ হইতেছে না, ইহা আমাদের বড়ই দুর্ভাগ্যের কথা। যাহা হউক, দুই চারি দিনের মধ্যে আপনি নিশ্চয়ই নীরোগ হইবেন।
ল্যাম্পিয়ন বলিল, “আমি বড় গলা করিয়া বলিতেছি, এক সপ্তাহ মধ্যে মা আমার একদম্ সুস্থ হইয়া উঠিবে।—আহা, বইখানা যে ফেলিয়া দিয়াছ মা। কুড়াইয়া দিই।”
কি স্নেহার্দ্র কণ্ঠস্বর।—ল্যাম্পিয়ান তৎক্ষণাৎ কেতাবখানি ডেকের উপর হইতে তুলিয়া মিস, এরস কাইনের জানুর উপর রাখিয়া দিল, তারপর কোমলস্বরে বলিল, “আজ সকালে তোমার ঔষধটা বদলাইয়া দিয়াছি, এবার ভাল ভাল ঔষধ, দিয়াছি, খাইয়াছ ত?
মিস্ এরস্কাইন মৃদুস্বরে বলিলেন, “হ্যাঁ।
ল্যাম্পিয়ন সোৎসাহে বলিল, “বেশ বেশ। ঐ ঔষধেই তোমার রোগ সারিয়া