হইতেছে, কাল তুমি অনেকটা সুস্থ হইবে। তোমার যদি ইচ্ছা হয়—তাহা হইলে তোমার কাছে কিছুকাল বসিয়া তোমাকে নভেল খানা পডিয়া শুনাই।”
মিস্ এরস্কাইন মাথা নাড়িয়া বলিলেন, “না, তাহার আবশ্যক নাই, আমি একটু নিরিবিল থাকিতে চাই।”
ল্যাম্পিয়ন বলিল, “তোমার যেরূপ অভিরুচি, তবে আমি এখন চলিলাম। যদি আমাকে ডাকিবার আবশ্যক হয় তাহা হইলে স্টুয়ার্ডকে বলিলেই সে আমাকে সংবাদ দিবে।”
ল্যাম্পিয়ন অন্যত্র প্রস্থান করিলে মিস্ এরস্কাইন চেয়ারে অর্দ্ধশায়িত ভাবে বসিয়া চক্ষু মুদিত করিলেন।—তাহার পর চক্ষু খুলিয়া একবার চতুর্দ্দিকে দৃষ্টিপাত করিলেন। ইত্যবসরে ডড্লে তাঁহার চেয়ারের অদূরে আসিয়া দাঁড়াইয়াছিলেন। ডড্লে নিম্নস্বরে বলিলেন, “আপনার অবস্থা দেখিয়া আমার বড়ই ভয় হইয়াছিল, মনে হইতেছিল আজ আপনি আরও অধিক অসুস্থ হইয়াছেন।”
মিস্ এরস্কাইন বলিলেন, “না, আজ আমি অনেকটা ভালই আছি। আপনার উপদেশানুসারেই আমি মামাকে বুঝিতে দিয়াছি—আজ আমি পূর্ব্বাপেক্ষা অধিক অসুস্থ হইয়াছি।—ভাল করি নাই?”
ডড্লে সোৎসাহে বলিলেন, “খুব ভাল করিয়াছেন। আপনি সত্যই কি আজ অন্যদিন অপেক্ষা ভাল আছেন? আশা করি আপনি আজ একবারও ঔষধ ধান নাই।”
মিস্ এরস্কাইন বলিলেন, “হাঁ, আজ অনেক ভাল। ঔষধ কি খাবার, কিছুই খাই নাই।”—অনন্তর তিনি ক্ষণকাল নীরব থাকিয়া বলিলেন, “আপনি কি আমার উদ্ধারের কোনও কৌশল আবিষ্কার করিতে পারিলেন কি? উপায় স্থির করিয়াছেন?”
ডড্লে বলিলেন, “আগামী কল্য রাত্রে এ জাহাজ ত্যাগ না করিলেই নয়। আপনি এজন্য প্রস্তুত আছেন কি?