পাতা:নারী-চরিত - সৌদামিনী সিংহ.pdf/২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ২১ )

করিয়া স্বয়ং সাম্রাজ্যের ভার গ্রহণ করিতে অভিলাষিণী হইলেন ও ছলনা পূর্ব্বক সম্রাটের নিকট নিয়ত রাজকুমারীর দোষ ঘোষণা করিতে আরম্ভ করিলেন। পলচেরিয়া তাঁহার দুরভিসন্ধি বুঝিতে পারিয়া প্রতিহিংসার্থে তাঁহার প্রতি কোন ভয়ানক দোষারোপ করিয়া একেবারে সম্রাটসমক্ষে সেই দোষ প্রতিপন্ন করিয়া দিলেন। সম্রাট ভগিনীর বাক্যে সন্ধিহান হইয়া স্বীয় পত্নী এথেনেসকে সন্ত্রমচুত ও অপমানিত করিতে ক্ষণমাত্র কাল বিলম্ব করিলেন না।

 এই রূপে এথেনেস্‌ আপন মন্দবুদ্ধির সমুচিত প্রতিফল পাইয়া সাতিশয় অনুতাপ ও বিলাপের বশবর্ত্তিনী হইলেন। যখন দেখিলেন একবারে সম্রাটের মনোভঙ্গ হইয়াছে, তখন মনে মনে বিবেচনা করিলেন যে, আর এ নগরীতে আমার বাস করা কর্ত্তব্য নহে; তীর্থস্থান যিরুশালম নগরে যাইয়া ধর্ম্ম কর্ম্মের অনুষ্ঠান দ্বারা জীবনের অবশিষ্ট কাল অতিবাহিত করাই বিধেয়। মনোমধ্যে এই রূপ স্থিরসংকল্প করিয়া সম্রাটের নিকট অনুমতি যাচ্‌ঞা করিলেন। সম্রাট তাহা অবাধে গ্রাহ্য করিলে, তিনি রাজধানী পরিত্যাগ পূর্ব্বক অপরাধিনীর ন্যায় নগর বহিষ্কত হইয়া যিরুশালম নগরে যাত্রা করিলেন। তথায় বাস করিয়া ভজনালয় সংস্থাপন, দীনহীনদিগের অভাবমোচন ও আহার দান প্রভৃতি সৎকর্ম্মের অনুষ্ঠান করিতে লাগিলেন। তিনি তাঁহার প্রিয়তম দুহিতার