পাতা:নারী-চরিত - সৌদামিনী সিংহ.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ২৬ )

বিবি কারটরের পাণিগ্রহণ করিবেন। কিন্তু কারটর তাহা নিয়ত অস্বীকার করিয়া কহিতেন যে, তিনি কেবল বন্ধুত্বে বশীভূত হইয়া এরূপ স্নেহভাব প্রকাশ করেন বাস্তবিক পরিণয়াকাঙ্ক্ষিণী নহেন। নরউইচ্‌ পল্লীর বিশপ, ডাক্তর হেটর, (পরে যিনি লণ্ডন নগরের বিশপের বা ধর্ম্মাধ্যক্ষের পদে অভিষিক্ত হন) তাঁহার বিষয়েও ঐরূপ জনরব হয়, বস্তুতঃ এই জনরব অমূলক নহে, কারণ কোন সময়ে উক্ত বিশপদ্বয় ও বিবিকারটর একত্র উপবিষ্ট হইয়া কথোপকথন করিতেছিলেন, এমন সময়ে ডাক্তর শিকর পরিহাসচ্ছলে হেটরকে সম্বোধিয়া কহিলেন, ভ্রাতঃ! সকলে আমাদিগের উভয়কে মান্যা কারটরের পরিণয়াভিলাষী স্থির করিয়াছে; বস্তুতঃ আমার হাতে অভিলাষ নাই, এক্ষণে তাঁহাকে, তোমায় অর্পণ করিলাম। তুমি পত্নীভাবে গ্রহণ করিয়া সুখী হও।

 অনন্তর বিবি কারটর ১৭৫৮ খৃষ্টাব্দে ইপিক্‌টিটস নামক লাটিন গ্রন্থের ইংরাজী ভাষায় অনুবাদ, ভূমিকা ও টীকা প্রচার করেন। এই অনুবাদকার্য্য এরূপ সুন্দর রূপে সিদ্ধ হইয়াছিল যে, ইহা এক খানি উৎকৃষ্ট গ্রন্থ মধ্যে পরিগণিত হইয়া দেশ বিদেশে বিখ্যাত হইল। তিনি ডাক্তর জন্‌সন্‌ কৃত “রেম্বলার” নামক সাময়িক পত্রের এক জন সহকারী লেখক ছিলেন এবং ১৭৬১ খৃষ্টাব্দে একখানি পদ্যময় কাব্য গ্রন্থ প্রকাশ করেন, তাহা পাঠ করিয়া অনেক লোকেই পরিতুষ্ট হইয়াছিল, বস্তুতঃ তৎকৃত