পাতা:নারী-চরিত - সৌদামিনী সিংহ.pdf/৩৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

( ২৭ )

সকল পুস্তক অপেক্ষা ইপিক্‌টিটস্‌ গ্রন্থের অনুবাদ অতিউৎকৃষ্ট। তদ্দ্বারাই তাঁহার নাম চিরস্মরণীয় হয়। জীবনের শেষকাল পর্য্যন্তও তাঁহার বিদ্যালাভের লালসার শেষ হয় নাই; তখনও তিনি নিয়মিতরূপে হিব্রু, গ্রীক প্রভৃতি প্রাচীন ভাষার আলোচনা করিতেন।

 বিবি কারটর মাতৃক্রোড়ের ন্যায় আপন জন্মভূমির প্রতি অত্যন্ত অনুরাগিণী ছিলেন; তজ্জন্য সর্ব্বদা স্বগৃহে অবস্থান করিয়া কালহরণ করিতেন।

 তিনি প্রতি বৎসর এক এক বার লণ্ডন রাজধানীতে গমন করিয়া আপন বন্ধু-বান্ধব-বর্গের সহিত সাক্ষাৎ ও সম্ভাষণ করিয়া আসিতেন। তৎকালীন নগরবাসীরা তাঁহাকে আপন আপন বাটীতে কিছুকাল রাখিবার জন্য বিস্তর অনুরোধ করিত। কিন্তু তিনি বিনয় দ্বারা তাহাদিগকে সন্তুষ্ট করিয়া সত্বরে আপন জন্ম স্থানে প্রত্যাগত হইতেন। তিনি অতি সরল স্বভাবা, অপরিসীম নীতিজ্ঞান সম্পন্না ও সকলের প্রতি দয়াশীলা ছিলেন তজ্জন্য, সকলের নিকট প্রচুর সম্মান প্রাপ্ত হন। বৃদ্ধাবস্থা পর্য্যন্ত তিনি সকলের আদরণীয়া হইয়া ১৮০৬ খৃষ্টাব্দের ৯ই ফেব্রুয়ারিতে লণ্ডন নগরে মানবলীলা সংবরণ করেন।

 দেখ, বিবি কারটর কেমন চমৎকার স্ত্রীলোক! বাল্যকালে কত যত্ন ও কত পরিশ্রমে বিদ্যাশিক্ষা করিয়াছিলেন। স্বাভাবিক, স্থূল বুদ্ধি হইয়াও অচল প্রতিজ্ঞা সহকারে