পাতা:নারী-চরিত - সৌদামিনী সিংহ.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
( ৩৮ )

তাচ্ছীল্য প্রদর্শন করেন নাই। যাহাতে গার্হ্যস্থ ধর্ম্মের উন্নতি ও সুশৃঙ্খলা রক্ষা হয়, তদ্বিষয়ে একান্ত মনে যত্ন করিতেন। মার্গ্রেটের স্বভাব, তাঁহার পিতার অনুরূপ ছিল, তিনি স্বভাবতঃ ধীর, দয়ার্দ্র, নির্ম্মলবুদ্ধি ও মেধাবিনী, বিশেষতঃ জনক জননীর প্রতি অত্যন্ত ভক্তিমতী ছিলেন। বিবাহের পূর্ব্বেই তিনি বিদ্যাবতী ও সচ্চরিত্রা বলিয়া সর্ব্বত্র প্রসিদ্ধা হন।

 অনন্তর মার্গ্রেট, এক উৎকট পীড়ায় আক্রান্ত হইলেন। দিন দিন পীড়া বৃদ্ধি হইতে লাগিল। তাঁহার আত্মীয় স্বজনেরা আরোগ্য লাভে সন্দিহান হইয়া একান্ত ক্ষুন্ন, ও তাঁহার জনক, প্রিয়তম দুহিতার প্রাণনাশের সম্ভাবনা বুঝিতে পারিয়া, অতিশয় কাতর হইয়াছিলেন। তিনি অহর্নিশি নিভৃত স্থানে কন্যার পীড়াশান্তি হেতু ঈশ্বর সন্নিধানে প্রার্থনা করিতেন। সুনিপুণ চিকিৎসকেরা, তদীয় রোগ অপ্রতীকার্য্য জানিয়া চিকিৎসায় ক্ষান্ত হইলে, পরিশেষে সৌভাগ্য ক্রমে এক সামান্য ঔষধ সেবনে তাঁহার জীবন রক্ষা হইল।

 এই রূপে স্বাস্থ্য লাভ করিয়া, মার্গ্রেট ১৫২৮ খৃষ্টাব্দে উইলিয়ম্‌ রোপর নামক এক সদ্‌গুণ সম্পন্ন ব্যক্তিকে বিবাহ করেন। রোপর স্বভাবতঃ বিদামোদী ও ধর্ম্মানুরাগী ছিলেন, প্রতিনিয়ত জ্ঞানলাভ জন্য নানাবিধ গ্রন্থ অধ্যয়ন করিতেন। বিবি রোপর অতঃপর স্বামির সহিত একত্রিত হইয়া বিজ্ঞান ও ধর্ম্মশাস্ত্রের অনুশীলনে