পাতা:নারী-চরিত - সৌদামিনী সিংহ.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
( ৫১ )

নিমিত্ত প্রতিজ্ঞা করিলেন। ভাবিলেন অকিঞ্চিৎকর বিষয় সুখে অনুরক্ত হওয়া মনুষ্য মাত্রেরই অনুচিত। কেবল ঈশ্বরের প্রিয় কার্য্য সাধন করা ও লোক সমাজের হিতচেষ্টা করাই একান্ত কর্ত্তব্য। এই রূপে তিনি কখন সংসার ও কখন ঈশ্বরের দিকে ধাবমান হইতেন।

 এই প্রকার অবস্থায় তাঁহার কিছুকাল গত হইল। পরে একদা আপন ভগিনীগণের সহিত উপাসনালয়ে গমন করেন। তথায় ধর্ম্মপ্রচারকের শান্তিরস পুর্ণ সুমধুর উপদেশ বাক্য শ্রবণে, তাঁহার অন্তঃকরণ এককালে ভক্তি রসে অভিষিক্ত হয়। তখন অশ্রুপাত কবিতে করিতে নিজালয়ে প্রত্যাগতা হন, সেই অবধি তিনি সাংসারিক সুখে জলাঞ্জলি দিয়া নিয়ত ধর্ম্ম চিন্তায় কালক্ষেপ করিতে লাগিলেন। এলিজাবেথ বহুকষ্টে সংসারের মোহ জাল হইতে মুক্তি পাইয়া প্রথমতঃ ভোগবিলাসিনা বয়স্যাগণের সঙ্গ ও লণ্ডন নগর পরিত্যাগ করেন। পরে পিত্রালয়ে অবস্থিতি করিয়া অহর্নিশি পরোপকার ব্রত পালন পূর্ব্বক সাধ্যানুসাৱে দীন দরিদ্রদিগের দুঃখ মোচন এবং রোগিদিগের আরোগ্য চেষ্টা ও অধার্ম্মিক দিগকে জ্ঞানদান করা তাঁহার প্রধান কার্য্য হইয়া উলে।

 পাছে সদনুষ্ঠানে ব্যাঘাত জন্মে; এজন্য এতকাল পর্য্যন্ত এলিজাবেথ বিবাহ করেন নাই। এক্ষণে লণ্ডন নগরবাসি যুষফ ফ্রাই নামক এক সদ্‌গুণসম্পন্ন ধনবান ব্যক্তির সহিত তিনি উদ্বাহ সূত্রে বদ্ধ হইলেন। এলিজাবেথ, যে