পাতা:নারী-চরিত - সৌদামিনী সিংহ.pdf/৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
( ৮৮ )

ণ্টকে বন্ধুত্ব করিতে পারিব। পরে তাঁহার স্বামী, প্রাণ দণ্ড স্থলে গমন করিবার সময়, তিনি গবাক্ষ দ্বার হইতে তাঁহার নিকট চির বিদায় লইলেন। তদন্তর স্বামীর মৃত দেহ সন্দর্শন করিয়া দীর্ঘ নিশ্বাস পরিত্যাগ পূর্ব্বক সাতিশয় বিলাপ করিয়াছিলেন। এই ঘটনার এক ঘটিকা পরে লেডিজেন্‌, এক জন ধর্ম্মাধ্যক্ষের সহিত বধ্য-ভূমিতে আনীত হইলেন। তাঁহাদের স্ত্রীপুরুষেরি একত্রে প্রাণদণ্ড হইত কিন্তু পাছে দেশস্থ সমস্ত লোকে হাহাকার ও মহাবিলাপ করে, এজন্য রাজপুরুষেরা বিভিন্ন স্থানে ও সময়ে তাঁহাদিগের নিধন সাধন করিতে বাধ্য হইলেন। যাহা হউক মৃত্যুর অল্পকাল পূর্ব্বে তিনি, সমাগত রোরুদ্যমান ব্যক্তি সমুহকে সম্বোধিয়া এই সকল কথা বলিয়াছিলেন—হে সাধুমণ্ডলি! পিতা মাতা কর্ত্তৃক আমি মহারাণীর মহিমার বিরুদ্ধে অবৈধ কর্ম্ম করিতে স্বীকৃতা হইয়াছিলাম, যদ্যপি আমার ইচ্ছাবশতঃ এই মহাপাপে লিপ্ত হইয়া থাকি তাহা হইলে পরমেশ্বরের এবং তোমাদিগের নিকট আমি ক্ষমা প্রার্থনা করিতেছি। হে সহধর্ম্মাবলম্বি ভ্রাতৃগণ! আমি সত্য ধর্ম্মে বিশ্বাস পুর্ব্বক প্রাণত্যাগ করিতেছি, যিনি আমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত জন্য এই দণ্ড প্রদান করিয়াছেন এক্ষণে তাঁহার নিকট কৃতজ্ঞতা স্বীকার করিতেছি, কারণ তিনি অনুতাপ করিবার জন্য আমাকে সময় দিয়াছিলেন। হে প্রিয় দর্শকগণ! যদবধি আমি জীবিত আছি,