পাতা:নারী-চরিত - সৌদামিনী সিংহ.pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
(৯০)

রূপবতী, গুণবতী ও দিব্যাবতী রমণী অতি দুর্লভ। এক জন ইতিহাসবেত্তা বলেন, শৈশবের সারল্য, যৌবনের সৌন্দর্য্য, প্রৌঢ়কালের বিজ্ঞতা এবং বৃদ্ধাবস্থার গাম্ভীর্য্য; এই গুণ চতুষ্টয় তাঁহাতে একাধারে সংশ্লিষ্ট হইয়াছিল’’। উক্ত গুণ সমূহ অপেক্ষা তাঁহার ধর্ম্মনিষ্ঠা গুণটী সমধিক উজ্জ্বল এবং প্রধান বলিয়া পরিগণিত। তিনি ঐহিক অপেক্ষা পারলৌকিক চিরসুখকর যশঃ অন্বেষণে তৎপর ছিলেন। অল্প বয়সে নিধন হওয়াতে তাঁহার অধিক গ্রন্থ লিপিবদ্ধ হয় নাই। যে কয়েকটী বিষয় লিখিয়া গিয়াছেন, সে সকল প্রায় তাঁহার জীবন চরিত মধ্যে লিখিত হইয়াছে উক্ত বিষয় গুলি অতিশয় উৎকৃষ্ট এবং ধর্ম্ম সম্বন্ধীয়।


হাইপেসিয়া

 অনুমান, খৃষ্টীয় চতুর্থ শতাব্দীর অন্তে মিসর দেশের অন্তঃপাতি সেকেন্দ্রিয়া নগরে হাইপেসিয়ার জন্ম হয়। তাঁহার পিতা থিয়ন্‌, দর্শনশাস্ত্রে এক জন সুপ্রসিদ্ধ পণ্ডিত ছিলেন। হাইপেসিয়া শৈশবকালাবধি সুচতুরা ও মেধাবিনী ছিলেন বলিয়া, উত্তরকালে একজন অসামান্য ও অদ্বিতীয় নারী রূপে গণ্য হইবেন, ইহা অনেকেই বিবেচনা করিতেন। থিয়ন্‌ আপন কন্যার ঐরূপ মেধা ও বিদ্যানুরাগ দেখিয়া আহ্লাদিত চিত্তে স্বয়ং তাঁহার শিক্ষকতা কার্যের ভার গ্রহণ করেন। পরে অল্প কাল