পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯২
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

 তাহার উপর, আমাদের মূর্খতা ও অজ্ঞতার দোহাই দিয়া যুক্তরাষ্ট্র আমাদিগকে রাষ্ট্রীয় অধিকার হইতে বঞ্চিত করিবার চেষ্টা করিয়াছিলেন। তাহাই কি চিরকাল টিকিতে পারে? আমি বুঝিয়াছিলাম তাঁহাদের এই ‘অছিলা’ শীঘ্রই ঘুচিয়া যাইবে। আমরা বেশী দিন অজ্ঞ থাকিব না। আমাদিগকে শিক্ষিত করিয়া লইতে তাঁহারা বাধ্য হইবেন।

 আমি ত আমাদের ভবিষ্যতের স্থায়ী মঙ্গলের কথাই ভাবিতাম। কিন্তু নিগ্রোসমাজের সাধারণজনগণ ত অত দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ছিল না। তাহারা শিল্প, শিক্ষা, কৃষি সম্পত্তি ইত্যাদি ভুলিয়া রাষ্ট্রীয় জীবনের দিকেই বেশী ঝুঁকিল। অতি সামান্য মাত্র বিদ্যা লইয়াই নিগ্রোরা রাজনৈতিক আন্দোলনের পাণ্ডা হইতে লাগিলেন। কত নিগ্রোই যে এইরূপে প্রাদেশিক দরবারের মন্ত্রণাসভায় ঢুকিয়াছিল তাহার ইয়ত্তা নাই। আমিও একবার এই হুজুগে পড়িবার মত হইয়াছিলাম। কিন্তু শীঘ্রই আমার ভুল বুঝিতে পারিয়া সামলাইয়া লইয়াছি।

 রাষ্ট্রনৈতিক কর্ম্মক্ষেত্রে সমাজে বেশ সাময়িক নাম করা যায়। কিছুকাল হৈচৈ গণ্ডগোল হুজুগ আন্দোলন লাফালাফি ইত্যাদি সৃষ্টি করিয়া খ্যাতি অর্জ্জন করা যায়। দলপতি, জননায়ক ইত্যাদি উপাধিতে ভূষিত হইয়া গৌরব ও অহঙ্কার করা চলে। কিন্তু দেশের মাটির ভিতর জাতীয় উন্নতির বীজ বপন করিবার জন্য ওরূপ হুজুগে মাতিলে চলে না। স্থিরভাবে, সহিষ্ণুভাবে, দৃঢ়ভাবে লোকচরিত্র ও লোকমত গঠন করা আবশ্যক। জন