পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৯৮
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

বসিয়া থাকিয়া জীবন নিরানন্দময় করিতে থাকিত। তাহাদের বিশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের কর্ম্মচারীদের খোসামোদ করিলে দুএকটা চাকরী তাহাদের কপালে জুটিবে।

 বড় সহরের নিগ্রোসমাজ দেখিয়া আমি সুখী হইতে পারি নাই। তাহারা নিজেদের প্রকৃত স্বার্থ ভুলিয়া সাময়িক উত্তেজনায় এবং অনর্থক বিলাসভোগে দিন অতিবাহিত করিতেছিল। আমার ইচ্ছা হইত যে, কোন যাদুমন্ত্রে তাহাদের ঐ মোহ কাটাইয়া দিই। আমার সাধ হইত যে, তাহাদিগকে সম্মোহনমন্ত্রে ভুলাইয়া জীবনের যথার্থ কর্ম্মক্ষেত্রে তাহাদিগকে প্রতিষ্ঠিত করিয়া দিই। আমি ভাবিতাম যে, আমার ক্ষমতা থাকিলে, আমি তাহাদিগকে সহর ছাড়াইয়া পল্লীগ্রামে বসাইতাম। সেখানে প্রকৃতি জননীর সুকোমল ক্রোড়ে বাস করিয়া তাহারা জীবনের যথার্থ উন্নতি সাধন করিতে পারিবে। দেশের মাটিতে তাহারা একবার বসিতে পারিলে প্রকৃত সুখভোগের উপায়গুলি তাহারা আবিষ্কার করিতে পারিবে। কৃষিক্ষেত্রেই শিল্পির জন্য কাঁচা মাল তৈয়ারী হইয়া থাকে—পল্লীজীবনেই সকল জাতির যথার্থ সভ্যতার, প্রধান উপাদান উৎপন্ন হইয়া থাকে। পল্লীগ্রামে কৃষিকর্ম্ম করিয়াই সকল দেশের জনসমাজ সভ্যতার প্রথম স্তরে পদার্পণ করিয়াছে। এই স্তরে ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত হইবার পরে তাহারা শিল্প, বাণিজ্য, বিদ্যা, ধর্ম্ম, ইত্যাদি জাতীয় জীবনের সকল অঙ্গের পুষ্টিবিধান করিতে সমর্থ হইয়াছে। প্রাথমিক ভিত্তি স্থাপন করা বড় কষ্ট-কল্পনাসাধ্য সন্দেহ নাই। কিন্তু একবার ঐ কার্য্য হইয়া গেলে ভবি-