পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/১৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

অষ্টম অধ্যায়

আস্তাবলে বিদ্যালয়

 আলাবামা প্রদেশের পল্লী-সমাজগুলি দেখিয়া আমার কার্য্যের দায়িত্ব বেশ বুঝিতে পারিলাম। আমি কর্ম্মক্ষেত্রে একাকী, অথচ সমাজের সর্ব্বত্রই অভাব, দুঃখ, দারিদ্র্য ও অজ্ঞতা! এই সমুদয় নিবারণ করা কি একজনের পক্ষে সম্ভবপর? আমার বোধ হইতে লাগিল যেন আমি অসাধ্য-সাধনে ব্রতী হইয়াছি।

 নিগ্রো-পল্লীগুলির মধ্যে একমাস কাল ছিলাম। তাহাতে আমার কার্য্যপ্রণালী সম্বন্ধে অনেক ইঙ্গিত লাভ করিলাম। মোটের উপরে বুঝিয়া লইলাম যে, নিউ ইংলণ্ড অঞ্চলের ইয়াঙ্কি মহলে যে নিয়মে বিদ্যাদান করা হইয়া থাকে, এ অঞ্চলে ঠিক সেই নিয়মে শিক্ষাবিস্তার করিলে সুফল পাওয়া যাইবে না। এখানে একটা সম্পূর্ণ নূতন ধরণের পঠনপাঠনের রীতি চালান আবশ্যক। আমি ভাবিলাম যে, বোধ হয় সেনাপতি আর্মষ্ট্রঙ্গ হ্যাম্পটন বিদ্যালয়ের জন্য যে নিয়ম আবিষ্কার করিয়াছেন টাস্কেজীর বিদ্যালয়ে সেই নিয়ম প্রয়োগ করা চলিতে পারে। কেবলমাত্র পুঁথিগত বিদ্যায় পণ্ডিত করিয়া ছাড়িয়া দিলে নিগ্রোদিগের উপকার করা হইবে না। নিগ্রো বালকের সমগ্রজীবনই তৈয়ারী করিবার ব্যবস্থা করা কর্ত্তব্য।