পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/১৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আস্তাবলে বিদ্যালয়
১৩৩

মিলিয়াছিল। একজন শ্বেতাঙ্গ, আর একজন কৃষ্ণাঙ্গ। ইহাঁরাই সেনাপতি আর্মষ্ট্রঙ্গকে লোকের জন্য লিখিয়াছিলেন। ইহাঁরা বিগত বিশবৎসর ধরিয়া আমার কার্য্যে সাহায্য করিয়া আসিতেছেন।

 শ্বেতাঙ্গ ব্যক্তির নাম জর্জ্জ ক্যাম্পবেল। ইনি পূর্ব্বে অনেক ক্রীতদাসের মালিক ছিলেন। এক্ষণে ইনি একজন বড় সওদাগর। শিক্ষাপরিচালনা সম্বন্ধে ইহাঁর অভিজ্ঞতা যৎসামান্য। কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির নাম লুইস য়্যাডাম্‌স্‌। ইনি পূর্ব্বে গোলামী করিয়াছেন, এক্ষণে চামড়ার কাজ ও লোহা পিত্তল দস্তার কাজ করিয়া অন্ন সংস্থান করেন। গোলামীর যুগে ইনি জুতা তৈয়ারী, জুতা মেরামত, ঘোড়ার লাগাম তৈয়ারী, এবং কর্ম্মকার ও সূত্রধরের কার্য্য ইত্যাদি নানাবিধ কারিগরি শিক্ষা করিয়াছিলেন। ইনি কোনদিন বিদ্যালয়ে যাইয়া লেখা পড়া শিখেন নাই কিন্তু দেখিয়া শুনিয়া সামান্যরকমের কেতাবী-শিক্ষা লাভ করিয়াছেন।

 বুঝিলাম, এই দুই ব্যক্তির জীবনে কর্ম্মেরই প্রাধান্য। ইহাঁরা কতকটা ‘আটপীঠে’ কর্ম্মঠ ও ‘করিতকর্ম্মা’ লোক। কাজেই আমার শিক্ষাপ্রণালী ইহাঁরা খুবই পছন্দ করিলেন।

 এইসঙ্গে একটা কথা অবান্তরভাবে বলিতে চাহি। য়্যাডাম্‌সের বিচক্ষণতা এবং চিন্তাশীলতা দেখিয়া আমি বড়ই মুগ্ধ হইয়াছিলাম। চিরজীবন শৃঙ্খলার সহিত শিল্পে, কৃষিকার্য্যে অথবা ব্যবসায়ে লাগিয়া থাকিলে বুদ্ধিশক্তি যথেষ্টই মার্জ্জিত হয়। কর্ম্ম করিতে করিতে চিন্তা করিবার ক্ষমতা আপনা আপনি বাড়িতে থাকে। গ্রন্থপাঠ না করিয়াও সকল বিষয়ে স্বাধীনভাবে দৃষ্টি নিক্ষেপ