পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/১৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আস্তাবলে বিদ্যালয়
১৩৭

কার্য্যে তাঁহার যথেষ্ট পটুত্ব ও অভিজ্ঞতা ছিল। নিগ্রো-সমাজের নানা স্থানে তিনি ইতিপূর্ব্বে শিক্ষাবিস্তার কর্ম্মে নিযুক্ত ছিলেন। তিনি হ্যাম্পটন-বিদ্যালয়ের একজন গ্রাজুয়েট। জাতিতে তিনি নিগ্রো।

 নানা স্থানে বসবাসের ফলে এবং নানা কর্ম্মক্ষেত্রে কার্য্য করিয়া তিনি বিদ্যাদানের অনেক নূতন নূতন প্রণালীর পরিচয় পাইয়াছিলেন। তাঁহার মাথায় সর্ব্বদা কর্ম্মের নব নব উপায় আসিত। তাঁহার উদ্ভাবিত কার্য্যপ্রণালীর সাহায্যে আমার টাস্কেজী বিদ্যালয়ের যথেষ্ট উন্নতি সাধিত হইয়াছে।

 তিনিও আমারই মত পুঁথি বিদ্যার আদর করিতেন না। আমরা দুই জনে দেখিলাম, আমাদের ছাত্রেরা লেখাপড়ায় মন্দ ফল দেখাইতেছে না। কিন্তু স্বাস্থ্যরক্ষা, শরীরপালন ইত্যাদি বিষয়ে তাহারা কোন যত্নই লয় না। তাহাদের গৃহে এ সম্বন্ধে কোন চেষ্টা নাই। কাজেই বিদ্যালয়েও তাহারা অপরিষ্কার ভাবেই থাকিত। আমরা বুঝিলাম—ইহাদের মধ্যে কেতাবী শিক্ষা বেশী প্রচার করিয়া কোন লাভ নাই। আমরা স্থির করিলাম—প্রথমতঃ ইহাদের শরীর গঠন করিবার ব্যবস্থা করিতে হইবে। দাঁতমাজা, হাত পা ধোয়া, কাপড় পরিষ্কার করা, খাওয়া পরা, ঘর ঝাড়া ইত্যাদি বিষয় ইহাদিগকে প্রথমেই শিখান আবশ্যক। গৃহকর্ম্মে অভ্যস্ত হইতে থাকিলে ইহাদিগের স্বাস্থ্যজ্ঞান ও সাংসারিক জ্ঞান জন্মিতে পারিবে। তাহার পর এক আধটা অন্নসংস্থানের উপায়ও ইহাদিগকে দেখাইয়া দেওয়া আবশ্যক।