পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৩৮
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

কেবল দেখান নহে—হাতে কলমে শিখান আবশ্যক। তাহা হইলে ভবিষ্যতের খাওয়া পরার সংস্থানও হইতে থাকিবে। সঙ্গে সঙ্গে কম খরচে ও কম সময়ে বেশী কাজ করিবার চেষ্টা, পরিশ্রমের উপকারিতা, সময়নিষ্ঠা ইত্যাদি নানা সদ্‌গুণেরও ইহারা অধিকারী হইতে পারিবে।

 আমরা দেখিলাম ইহাদের পল্লীতে কৃষিকার্য্যই অন্নসংস্থানের প্রধান উপায়। শতকরা প্রায় ৮৫ জন নিগ্রো চাষাবাদের উপর বাঁচিয়া থাকে। কাজেই আমরা চাষাবাদের উপযোগী করিয়া আমাদের ছাত্রগণের জন্য বিদ্যাদানের ব্যবস্থা করিতে চেষ্টিত হইলাম। যাহাতে তাহারা সহুরে বাবু না হইয়া পড়ে তাহার প্রতি বিশেষ দৃষ্টি রাখিলাম। লেখাপড়া শিখিবার পর যেন তাহারা আবার জমি চষিতে পারে এবং পশুপালন করিতে প্রবৃত্ত হয়—এই লক্ষ্য সম্মুখে রাখিয়াই আমরা শিক্ষার প্রণালী স্থির করিতে লাগিলাম। তাহারা বিদ্যালয়ের গুরুমহাশয়ও হইতে পারিবে—অথচ কৃষিকর্ম্মেও লজ্জা বোধ করিবে না—এই আদর্শে আমরা টাস্কেজী বিদ্যালয়ের নিয়ম ও কার্য্যপ্রণালী উদ্ভাবন করিতে কৃতসঙ্কল্প হইলাম।

 এক কথায়, অর্দ্ধশিক্ষিত কুশিক্ষিত এবং চরিত্রহীন বাবুসমাজের পরিবর্ত্তে আমরা সুশিক্ষিত চরিত্রবান্ চাষী ও শিল্পীর পরিবার গঠন করিবার জন্য সকল উদ্যোগ করিতে প্রয়াসী হইলাম। আমরা স্থির করিলাম গ্রন্থপাঠকে অতি নিম্ন স্থানে রাখিব। তাহার পরিবর্ত্তে আমরা সংসারের কাজকর্ম্মের