পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/১৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আস্তাবলে বিদ্যালয়
১৩৯

সাহায্যেই নিগ্রোপুরুষ ও রমণীগণকে গড়িয়া তুলিব। এই নূতন শিক্ষাপ্রণালী কার্য্যে পরিণত করিবার ইচ্ছা হৃদয়ে পোষণ করিতে লাগিলাম।

 কিন্তু কার্য্য উদ্ধার করা যায় কি করিয়া? আমাদের স্থানাভাব ত যথেষ্ট। কয়েকজন নিগ্রো অনুগ্রহ করিয়া বিনাপয়সায় সেই পোড়ো বাড়ীটা বিদ্যালয়ের জন্য ব্যবহার করিতে দিয়াছেন এই যা রক্ষা। ছাত্র সংখ্যা দিন দিন বাড়িতেছিল। ইহারাই ত আমাদের নূতন আদর্শ পল্লীতে লইয়া যাইয়া ভবিষ্যতের পল্লীসেবক, পল্লী-শিক্ষক, ও পল্লী-সংস্কারক হইবে। এই ছাত্রগণই ত আমাদের যন্ত্র স্বরূপ থাকিয়া সমাজে সকল প্রকার উন্নতির আকাঙ্ক্ষা ও বীজ বপন করিবে। কিন্তু ইহা দিগকে এখন স্থান দিই কোথায়?

 তিন মাস আমাদের বিদ্যালয়ের কার্য্য চলিল। প্রতিদিনই সকল দিকে উন্নতির লক্ষণ দেখিতে পাইতাম। আলাবামার ভিন্ন ভিন্ন জেলা হইতে কত ছাত্র আসিতে চাহিল। বুঝিতাম আমাদের নামও প্রদেশময় ছড়াইয়া পড়িয়াছে।

 এই সময়ে একটা জমির সন্ধান পাওয়া গেল। টাস্কেজীর প্রায় দেড়মাইল দূরে একটা পুরাতন গোলামাবাদ বিক্রী হইবে জানিতে পারিলাম। মূল্য ১৫০০৲। জমির মালিক আমাদের নিকট দুই কিস্তীতে টাকা লইবেন। একে জমিটা সস্তা তাহার উপর এই অনুগ্রহ। কিন্তু হাতে যে আমাদের এক পয়সাও নাই—৭৫০৲ প্রথমেই দিব কিরূপে? বিপদ বুঝিয়া হ্যাম্পটনের