পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/১৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪০
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

ধন রক্ষক মার্ণ্যালের নিকট ধার চাহিলাম। তিনি লিখিলেন “হ্যাম্পটন বিদ্যালয়ের তহবিল হইতে টাকা ধার দিবার নিয়ম নাই। তবে আমি আমার নিজের ৭৫০৲ পাঠাইলাম।”

 ৭৫০৲ পাইলাম। ইতিপূর্ব্বে আমি এক সঙ্গে ২৫০/৩০০৲ টাকাও দেখি নাই। জমিটা কেনা হইয়া গেল। একবৎসরের মধ্যে বাকি ৭৫০৲ দিব স্বীকার করিলাম।

 নূতন স্থানে স্কুল উঠাইয়া লওয়া হইল! জমিতে সর্ব্বসমেত চারিটা পুরাতন ঘর ছিল। গোলামীর যুগে যখন বড় সাহেব এই কুঠিতে থাকিতেন তখন ইহাদের একটা ঘরে রান্না হইত ও একটা খাবার ঘর ছিল। আর দুইটা ঘরে ঘোড়া ও মুরগী থাকিত। কয়েক দিনের মধ্যে কুঠরীগুলি মেরামত ও পরিষ্কার করিয়া লইলাম। আস্তাবল ও মুরগীশালায় পাঠশালা বসিতে লাগিল।

 আস্তাবলেই প্রথমে কাজ চলিতেছিল। পরে ছাত্রসংখ্যা বাড়িয়া যায়। এজন্য মুরগীখানায়ও ছাত্রদের জন্য ‘ক্লাশ’ খুলিতে হইয়াছিল। একদিন সকালে একজন নিগ্রোকে বলিলাম, “মুরগীশালাটা পরিষ্কার করা আবশ্যক। আমাদের ছেলে বাড়িয়াছে। ঐ ঘরটায় নূতন ক্লাশ বসিবে।” সে তৎক্ষণাৎ বলিয়া উঠিল, “কি বলেন মহাশয়, আপনি দিবাভাগে লোক জনের সম্মুখে ঐ ঘর পরিষ্কার করিবেন? সকলে নিন্দা করিবে যে?” চক্ষুলজ্জা এবং লোকনিন্দার ভয় নিগ্রোসমাজে এতদূর পৌঁছিয়াছিল।