পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আস্তাবলে বিদ্যালয়
১৪৩

কোন নিগ্রো দশ পয়সা, কেহ বা চৌদ্দ পয়সা দান করিতে লাগিল। কেহ একটা রুমাল, কেহ বা খানিকটা চিনি, কেহ বা একখানা সতরঞ্চি দান করিল। একদিন এক বুড়ি ছেঁড়া কিন্তু পরিষ্কার কাপড়-চোপড় পরিয়া খোঁড়াইতে খোঁড়াইতে আমাদের স্কুলে হাজির হইল। সে বলিতে লাগিল, “মহাশয় আপনি ও ডেভিড্‌সন যে কাজ করিতেছেন তাহার জন্য ভগবান্ আপনাদিগকে সাহায্য করুন। নিগ্রোজাতিকে তুলিবার জন্য আপনারা জীবন উৎসর্গ করিয়াছেন। আপনাদের ধন্য! আর আমিও ধন্য যে এতকাল গোলামী করিবার পর আপনাদের ন্যায় নিঃস্বার্থ সমাজসেবকদিগকে দেখিয়া মরিতে পারিলাম। আপনাদের ন্যায় কর্ম্মবীর যখন তন্ময় হইয়া সমাজ-সেবায় লাগিয়াছেন, তখন নিগ্রোজাতি অতি সত্বরই জগতে মাথা তুলিয়া দাঁড়াইতে পারিবে। আজ আমার জীবনের অন্তিম দশায় সেই আশার আলোক দেখিতে পাইতেছি।” এই বলিতে বলিতে বৃদ্ধার চক্ষু জলে ভরিয়া গেল। তাহার পর সে আবার বলিল, “দেখুন, আমি নিতান্ত দরিদ্র। কাঁচা পয়সা আমি চোখে দেখিতে পাই না। আপনারা পাঠশালার জন্য চাঁদা চাহিয়াছেন। আমি আপনাদিগকে আমার ক্ষুদ্র জীবনের কৃতজ্ঞতা জানাইবার জন্য এই ছয়টি ডিম দান করিতেছি। আশা করি, এইগুলি বেচিয়া আপনারা কাজ চালাইতে পারিবেন।”

 এইরূপ মুষ্টিভিক্ষার ফলে আলু, চিনি, কম্বল, জামা, ডিম ইত্যাদি পাইতাম। পরে, সেইগুলি বাজারে বেচিয়া টাস্কেজীর