বন্দুক পিস্তল লইয়া শিকারেও বাহির হইল। হায়, ভগবানের জন্মতিথি কি এইরূপ উদ্দামতা উচ্ছৃঙ্খলতা, এবং নির্দ্দয়তার অভিনয়ে উপলক্ষ্যমাত্রে পরিণত হইয়াছে!
সহর ছাড়িয়া জেলার ভিতরকার পল্লীগ্রামের মধ্যে ‘বড়দিন’ দেখিতে গেলাম। এই দরিদ্র সমাজ যীশুর শুভাগমনে কিরূপ উৎসবের অনুষ্ঠান করিয়া থাকে জানিতে ইচ্ছা হইল। কোন কামরায় যাইয়া দেখি কতকগুলি ভূঁই পট্কা ছেলেদের মধ্যে ভাগ করিয়া দেওয়া হইয়াছে। তাহারা সেইগুলি মাটিতে আছড়াইয়া আওয়াজ করিতেছে। কোন কামরায় গোটা কয়েক কলা ঝোলান আছে। সেইগুলি আট দশ জনে মিলিয়া খাইতে বসিবে। কাহারও ঘরে কয়েকটা আখ দেখিতে পাইলাম। আর এক গৃহস্থ সস্তায় এক বোতল মদ কিনিয়া আনিয়াছে। স্বামী ও স্ত্রী দুই জনে এক সঙ্গে বসিয়া উহা পান করিতেছে। অথচ সেই ব্যক্তি ঐ পল্লীর একজন ধর্ম্মগুরু! কোন কোন গৃহে ছেলেরা নানারংএর ছাপান “কার্ড” লইয়া খেলা করিতেছে। সেই কার্ডগুলি বিশেষ কিছু মূল্যবান্ জিনিষ নয়। বড় বড় সহরের ব্যবসাদারেরা নিজেদের মাল প্রচার করিবার, জন্য ঐরূপ কার্ড ছাপাইয়া নানা স্থানে বিলি করিয়া থাকে। কেহ বা একটা নূতন পিস্তল কিনিয়া পাড়ার মধ্যে তাহা জাহির করাইয়া বেড়াইতেছে।
মোটের উপরে, বুঝিলাম, ইহারা সকলেই কাজ বন্ধ করিয়াছে। যাহার যেরূপ প্রবৃত্তি এবং আর্থিক অবস্থা সে সেইরূপ