পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/১৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অর্থচিন্তা ও বিনিদ্র যামিনী
১৪৭

পান-ভোজন ও আনন্দ উৎসবের উদ্যোগ করিতেছে। রাত্রিকালে সকলে মিলিয়া একটা বাড়ীতে নাচ গান করিবে। সেখানে মদ খাওয়ারও সবিশেষ আয়োজন আছে। শুনিয়াছি এই উদ্দামনৃত্যগীতের আসরে অনেক সময়ে মারপিট এবং রক্তারক্তি পর্য্যন্ত ঘটিয়া থাকে।

 বড়দিনের সফর করিতে করিতে এক বৃদ্ধ স্বজাতির সঙ্গে দেখা হইল। সে বলিল, “বুঝিলেন, ইডন উদ্যানে আদমের জীবন লক্ষ্য করিলেই জানা যায় যে, ভগবান্ কাজ কর্ম্ম ভালবাসেন না। এইজন্য আজকাল বড়দিনের সময় সর্ব্বত্রই দিবসব্যাপী উৎসব। কোথায়ও কাজ কর্ম্ম কিছুই দেখিতে পাইবেন না। বাঁচিয়াছি, এ কয়দিন খাটিতে হইতেছে না, হাড় জুড়াইল।” সে আরও বলিল “এক বৎসর কি পাপেই না জীবন কাটিয়াছে—কেন না একদিনও যথার্থ বিশ্রাম পাই নাই। আজ আমার কি পুণ্যের দিন—কিছুই কাজ করিবার ভাবনা নাই।”

 নিগ্রোসমাজের ধর্ম্মমত এবং লোকচরিত্র দেখিয়া শুনিয়া আমার কর্ত্তব্য স্থির করিয়া লইলাম। আমার স্কুলে ছাত্রদিগকে বড়দিনের সার্থকতা বুঝাইতে চেষ্টা করিলাম। আমাদের চেষ্টায় পল্লীতে পল্লীতে যথেষ্ট সুফল ফলিয়াছে। আজ ১৫।২০ বৎসর কার্য্যের ফলে দেখিতে পাইতেছি যে, নিগ্রোরা বড়দিনের উৎসবে যথেষ্ট সংযম, শৃঙ্খলা, চরিত্রবত্তা এবং ধর্ম্মভাব রক্ষা করিয়া চলে।

 টাস্কেজীবিদ্যালয়ের ছাত্রেরা আজকাল বড়দিনের সময়ে বিশেষভাবে সমাজ-সেবা লোক-হিত এবং পরোপকারের কর্ম্মে