পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/১৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৪৮
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

লাগিয়া যায়, দুঃখী ও দরিদ্র লোকদিগকে সুখ দিতে তাহারা যথাসাধ্য চেষ্টা করে। সেদিন তাহারা একজন দরিদ্র বৃদ্ধা নিগ্রোরমণীর কামরা নিজ হাতে তৈয়ারী করিয়া দিয়াছে। একজন লোক শীতে জামা অভাবে কষ্ট পাইতেছিল। একথা আমি আমার ছাত্রদিগকে জানাইবামাত্র তাহাদের নিকট দুইটা জামা-পাইলাম।

 পূর্ব্বে একবার বলিয়াছি যে, টাস্কেজীর শ্বেতাঙ্গেরাও আমাদের অর্থসংগ্রহের চেষ্টায় সাহায্য করিতেন। আমাদের মুষ্টি ভিক্ষা তাঁহাদের নিকটও আদায় হইত। নগদ টাকাও মাঝে মাঝে তাঁহারা দিতেন। তাহা ছাড়া কুমারী ডেভিড্‌সন যখনই তাঁহাদের নিকট ভিক্ষার ঝুলি লইয়া হাজির হইতেন তখনই কিছু না কিছু পাইতেন।

 আমি প্রথম হইতেই বিদ্যালয়টিকে সমগ্র পল্লীর জীবন-কেন্দ্ররূপে গড়িয়া তুলিতেছিলাম। পল্লীর সকল কাজ কর্ম্মেই বিদ্যালয়ের সম্বন্ধ রাখিতাম। গ্রামের লোকেরা সহজেই বুঝিতে পারিত যে, বিদ্যালয়ের সাহায্যে তাহাদের নানা বিষয়ে উপকার হইতেছে। তাহা ছাড়া উহা সকলেরই সম্পত্তি—টাস্কেজীর সাদা কাল সকলেই উহার মালিক ও কর্ত্তা। সাধারণ জনগণের সৎপ্রবৃত্তিতেই উহার ভিত্তি। কেহই যেন না বুঝিতে পারে যে, কয়েকজন বাহিরের লোক আসিয়া গ্রামের উপর একটা বোঝা চাপাইয়াছে। এই ভাব মনে রাখিয়া আমি বিদ্যালয় চালাইতাম। গ্রামের লোকের উৎসাহ, কর্ত্তব্যজ্ঞান, কর্ত্তৃত্ব ও দায়িত্ববোধ আমি সর্ব্বদাই নানা উপায়ে জাগাইয়া রাখিতাম। জমির মূল্য দিবার জন্য সকলের নিকটই চাঁদার খাতা লইয়া