পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫০
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

 আমরা সব কাজই এক সঙ্গে আরম্ভ করিতাম না। ভাল কাজ হইলেও তাহা যখন তখন আমাদের কর্ম্মকেন্দ্রে প্রবর্ত্তন করিতে চেষ্টিত হইতাম না। আমাদের যখন যেরূপ অভাব হইত তখন ঠিক সেইরূপ ব্যবস্থাই করিতাম। আমাদের সর্ব্বপ্রথম অভাব হইয়াছিল—বিদ্যালয়ের ছাত্রদিগের জন্য ভাল শাক শব্জীর। এইজন্য সর্ব্বপ্রথমেই আমরা চাষে লাগিয়া গেলাম।

 ক্রমশঃ দেখিতে পাইলাম, আমাদের ছাত্রেরা এতই দরিদ্র যে বৎসরে তিন মাসের বেশী পয়সা খরচ করিয়া স্কুলে থাকিবার ক্ষমতা তাহাদের নাই। তাহাদের অন্যান্য মাসের খরচ চালাইবার জন্য আমাদের নূতন ব্যবস্থা করিবার প্রয়োজন হইল। এজন্যও চাষের ব্যবস্থা ভাল করিয়াই করা গেল। সঙ্গে সঙ্গে সূত্রধরের কার্য্য, কর্ম্মকারের কার্য্য ইত্যাদি নানাবিধ শিল্প-কর্ম্ম খুলিবার আয়োজন করিতে লাগিলাম।

 আমাদের টাস্কেজীতে একটা কাণা ঘোড়া লইয়া পশু পালন আরম্ভ হয়। ঘোড়াটা একজন শ্বেতাঙ্গ আমাদিগকে দান করিয়া ছিলেন। আজকাল আমাদের বিদ্যালয়ের পশুশালায় ২০০ ঘোড়া, খচ্চর, গরু, বাছুর, বলদ ইত্যাদি, ৭০০ শূকর এবং কতকগুলি মেষ ও ছাগল রহিয়াছে।

 ছাত্রসংখ্যা বাড়িয়াই চলিল। পুরাতন বাড়ীতে আর কোন মতেই কাজ চলে না। তখন একটা নূতন গৃহ নির্ম্মাণের প্রস্তাব করিলাম। প্রায় ২০,০০০৲ টাকার আনুমানিক ব্যয়ে এই গৃহ নির্ম্মিত হইবে হিসাব করিয়া দেখিলাম। এত টাকা আমাদের