পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অর্থচিন্তা ও বিনিদ্র যামিনী
১৫১

চিন্তার অতীত বোধ হইল। কিন্তু আমরা যে অবস্থায় আসিয়া পৌঁছিয়াছি তখন হয় আমাদিগকে ঐরূপ গৃহ নির্ম্মাণ করিতেই হইবে, না হয় পুরাতন অবস্থায়ই পচিতে হইবে। বিশেষতঃ আমরা ছাত্রদিগকে এক সঙ্গে এক জায়গায় রাখিয়া আমাদের আদর্শ অনুসারে গড়িয়া তুলিতে চাহিয়াছিলাম। সে উদ্দেশ্যে অতি সত্বরই কার্য্য আরম্ভ করা আবশ্যক। এজন্য বিলম্বের আর সময় ছিল না। কাজেই এত ব্যয়ে প্রকাণ্ড বাড়ীর ব্যবস্থা করা আমাদের অবশ্য কর্ত্তব্যের মধ্যে পরিগণিত হইয়া পড়িল।

 ক্রমশঃ সংবাদ রটিয়া গেল যে, এক বৃহৎ ব্যাপার টাস্কেজীর কর্ত্তারা আরম্ভ করিয়াছেন। এক দিন সকালে দক্ষিণ প্রান্তের একজন শ্বেতকায় কাঠের সওদাগর আসিয়া আমায় বলিলেন, “শুনিতেছি, আপনারা নূতন বিদ্যালয় গৃহের প্রস্তাব করিয়াছেন। আমি আপনাদিগকে সমস্ত কাঠ জোগাইতে প্রস্তুত আছি। এক্ষণেই মূল্য দিতে হইবে না। আপনাদের যখন সুবিধা হয় তখন দিবেন।” আমি বলিলাম “আমাদের হাতে কিন্তু সম্প্রতি এক কড়িও নাই।” তিনি বলিলেন “তাহা আমি জানি। তথাপি আমি আপনাদের জমিতে কাঠ পৌঁছাইয়া দিব।” আমি বলিলাম “মহাশয়, কিছু অপেক্ষা করুন। আগে আমাদের হাতে কিছু টাকা জমা হউক। তাহার পর আপনাকে জানাইব।”

 এই ঘটনায় আমি অতিশয় আশান্বিত হইলাম। ভাবিলাম— সৎকার্য্যে অর্থাভাব হয় না।

 কুমারী ডেভিড্‌সন আবার নানা কৌশলে শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গ