পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/১৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫২
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

সমাজ হইতে টাকা তুলিতে চেষ্টিত হইলেন। নিগ্রোরা এই গৃহের কথা শুনিয়া সর্ব্বাপেক্ষা অধিক আনন্দিত হইয়াছিল। আমরা একদিন টাকা তুলিবার জন্য একটা সভা আহ্বান করিয়াছিলাম। সভার কার্য্য চলিতেছে, এমন সময়ে এক প্রৌঢ় নিগ্রো দাঁড়াইয়া উঠিল। সে প্রায় ১২ মাইল দূর হইতে আসিয়াছে—সঙ্গে একটা বড় শূকর বহিয়া আনিয়াছে। সে বলিতে লাগিল, “ভাই সকল আমার টাকা পয়সা নাই। আমার সম্পত্তির মধ্যে দুইটা বড় শূকর আছে। তাহাদের একটি আমি এই বিদ্যালয়ের গৃহনির্ম্মাণ-তহবিলে দান করিবার জন্য আনিয়াছি। আমি আপনাদিগকে করুণভাবে নিবেদন করিতেছি যে, যদি স্বজাতির জন্য আপনাদের হৃদয়ে বিন্দুমাত্র ভালবাসা থাকে, অথবা আপনাদের চিত্তে যদি বিন্দুমাত্র আত্মসম্মান ও আত্ম-গৌরব বোধ থাকে, তাহা হইলে আপনারা সকলেই একটি করিয়া শূকর এই বিদ্যালয়ের জন্য দান করুন। আমার বিশ্বাস আপনারা আমার এই অনুরোধ অগ্রাহ্য করিবেন না।” আর কয়েক জন নিগ্রো এই সঙ্গে দাঁড়াইয়া উঠিয়া বলিল, “আমি আমার স্বজাতির সম্মুখে প্রতিজ্ঞা করিতেছি, যে এই বিদ্যালয়ের গৃহনির্ম্মাণ কার্য্যে আমি দুই সপ্তাহ শারীরিক পরিশ্রম করিয়া সাহায্য করিব!”

 দক্ষিণ অঞ্চল হইতেই ২০,০০০ টাকা উঠা অসম্ভব। কুমারী ডেভিড্‌সন উত্তর প্রান্তের ইয়াঙ্কি মহলে চাঁদা আদায় করিতে বাহির হইলেন। সেখানে নানা গির্জ্জায় যাইয়া এজন্য বক্তৃতা করিতে হইল। বিভিন্ন বিদ্যালয়-গৃহে এবং সভা সমিতির সম্মুখেও তিনি