পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অর্থচিন্তা ও বিনিদ্র যামিনী
১৫৩

টাস্কেজীর বৃত্তান্ত জানাইলেন। বড়ই কঠিন কার্য্য। কেহই উহার নাম পর্য্যন্ত শুনে নাই। এদিকে লোকের উৎসাহ আকৃষ্ট করা অল্প পরিশ্রমের ব্যাপার নহে। যাহা হউক, ডেভিড্‌সন ধীরে ধীরে উত্তর প্রান্তের ভালবাসা পাইতে লাগিলেন।

 ডেভিড্‌সন একদিন এক ষ্টীমারে নিউইয়র্ক যাইতেছিলেন। সেখানে একটি ইয়াঙ্কি রমণীর সঙ্গে তাঁহার আলাপ হয়। রমণী ষ্টীমার ত্যাগ করিবার সময়ে ডেভিসনকে ১৫০৲ টাকার একটা ‘চেক্‌’ লিখিয়া দিলেন।

 ডেভিড্‌সনকে অর্থসংগ্রহের জন্য যারপর নাই খাটিতে হইয়া ছিল। এজন্য তিনি এত দুর্ব্বল ও ক্লান্ত হইয়া পড়িতেন যে অনেক সময় তাঁহার চলিবার ক্ষমতা থাকিত না। একদিন বোষ্টন নগরে একটি রমণীর সহিত সাক্ষাৎ করিতে যাইয়া ডেভিড্‌সন তাঁহার ‘কার্ড’ পাঠাইলেন। কার্ড পাইয়া রমণী বৈঠকখানায় আসিলেন। আসিয়াই দেখেন ডেভিড্‌সন ক্লান্ত হইয়া ঘুমাইয়া পড়িয়াছেন।

 ডেভিড্‌সন যে সময়ে অর্থসংগ্রহ করিতেছিলেন সেই সময়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষকতার কার্য্যও তাঁহার ছিল। তাহা ছাড়া তিনি টাস্কেজীর রমণী মহলে ঘুরিয়া ঘুরিয়া শিক্ষা দিতেন, এবং শ্বেতাঙ্গ ও কৃষ্ণাঙ্গ সমাজের মধ্যে সদ্ভাব বর্দ্ধনের চেষ্টা করিতেন। অধিকন্তু একটি রবিবারের বিদ্যালয়ের ভারও তিনি লইয়াছিলেন।

 তিনি আমাদের সাহায্যকারী বন্ধুগণের সঙ্গে সর্ব্বদা চিঠিপত্রের সাহায্যে আলাপ রাখিতেন। সময়ে সময়ে তাঁহাদিগকে