পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৫৪
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

বিদ্যালয়ের অবস্থা জানাইতে চেষ্টাও করিতেন। এইরূপে টাস্কেজীর জন্য নানা স্থানে স্থায়ী বন্ধুর সৃষ্টি হইয়াছিল।

 গৃহনির্ম্মাণ আরম্ভ হইয়া গেল। ঘরের নাম রাখা হইয়াছিল “পোর্টার হল”। পোর্টার নিউইয়র্কের ব্রুক্‌লিন নগরের একজন সহৃদয় ইয়াঙ্কি। ইনি কিছু বেশী টাকা দিয়াছিলেন—এজন্য গৃহের নাম ইহাঁর সঙ্গে সংযুক্ত রাখিয়াছিলাম। এই ঘর তৈয়ারী করিবার সময়ে টাকার অভাব খুব বোধ করিতে লাগিলাম। একজন পাওনাদারকে কথা দিয়াছিলাম, অমুক তারিখে তাঁহার প্রাপ্য ১২০০৲ দিব। সেই তারিখ আসিল। সকালে একটিমাত্র টাকাও হাতে নাই দেখিলাম। দশটার সময়ে ডাক পাইলাম। সেই সঙ্গে কুমারী ডেভিড্‌সনের একখানা চিঠি ছিল। তাহার মধ্যে একটা ১২০০৲ টাকার চেক্! আমি অবাক্ হইয়া গেলাম। আরও অনেক সময়েই এইরূপ অবাক্ হইয়াছি। এই ১২০০৲ বোষ্টনের দুই জন রমণী দান করিয়াছিলেন। এই দুই রমণী এক বৎসর পরে আরও ১৮,০০০৲ দান করিয়াছিলেন। বিগত ১৪ বৎসর ধরিয়া এই দুইটি রমণী ১৮,০০০৲ করিয়া প্রতি বৎসর দিয়া আসিতেছেন।

 গৃহ নির্ম্মাণ করিবার পূর্ব্বে মাটি কাটা আরম্ভ হইল। ছাত্রেরাই এই কাজ করিল। অবশ্য এখন পর্য্যন্ত তাহারা নবভাবে সম্পূর্ণরূপে মজিয়া উঠে নাই। এখন ত তাহাদের সেই পুরাতন বাবুগিরির ভাব কিছু কিছু ছিল। “আমরা লেখা পড়া শিখিতে আসিয়াছি, মাটি কাটিব বা ইট গড়িব কেন?”—