পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অসাধ্য সাধন
১৫৯

তাঁহারা পরিশ্রম করিতে পারিলেই সুখী ও আনন্দিত হন। পরিশ্রম করিতে পারাটাই একটা মহাগুণ—পরিশ্রমী ব্যক্তিমাত্রই গুণবান্ এবং সকলের প্রশংসাযোগ্য। যথার্থ শিক্ষিত ব্যক্তি এইরূপ ভাবিয়া থাকেন।

 এই ধর্ম্মভাবে পরিশ্রম করিতে আরম্ভ কর, দেখিবে খাটিয়া খাওয়ায় কোন অপমান, কষ্ট ও লজ্জাবোধ হইতেছে না। কারণ পরিশ্রম করা তখন অপর লোকের কোন উদ্দেশ্য সাধনের উপায় মাত্র মনে হইবে না। উহার দ্বারা নিজেরই উপকার হইতেছে ভাবিতে পারিবে। উহা নিজ জীবনেরই সার্থকতা লাভের অঙ্গস্বরূপ বিবেচিত হইবে। পরিশ্রমের ফলে তুমি প্রকৃত মানুষ হইতেছ এই জ্ঞান থাকিবে। কাজেই পরিশ্রম গৌরবজনক পুণ্যের কাজরূপেই আদর পাইতে পারিবে—কোন মতেই ঘৃণ্য বা কষ্টকর বোধ হইবে না। নিজের আত্মার যাহাতে উন্নতি হয় তাহাতে কেহ কখনও কষ্টবোধ করে কি?

 আমার নূতন আদর্শের শিক্ষাপ্রণালী অনুসারে ছাত্রেরা শারীরিক পরিশ্রমের এইরূপ মর্য্যাদা ও গৌরব দান করিতে শিখে। তাহা ছাড়া বিদ্যালয় চালাইবার পক্ষেও খুব সুবিধা হয়। কারণ এই উপায়ে প্রায় সকল খরচই কমাইয়া ফেলান যায়। ছাত্রদের পরিশ্রমেই ঝাড়ুদার ধোপা নাপিত মিস্ত্রী ছুতার কামার কুমার চাষী ইত্যাদি সকল প্রকার মজুরের কাজ চলিয়া থাকে। এজন্য অর্থব্যয় প্রায় হয়ই না বলিলে চলে। সঙ্গে সঙ্গে, পূর্ব্বেই বলিয়াছি, ছাত্রেরা নূতন নূতন শিল্পবিদ্যা শিখিতে থাকে। জল,