পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/১৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬০
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

বায়ু, বাষ্প, তড়িৎ, জীবজন্তু ইত্যাদি জগতের সকল শক্তি মানুষকে নানা উপায়ে সাহায্য করিতেছে। কৃষিকর্ম্মে এবং শিল্পকার্য্যে লাগিয়া থাকিলে অতি সহজেই এ বিষয়ে ধারণা জন্মে। বস্তুজ্ঞান, ব্যবহারিক বিজ্ঞান ইত্যাদি বিষয় ছাত্রদিগকে আর নূতন করিয়া শিখাইতে হয় না। তাহারা বিশ্বশক্তিগুলি প্রতিদিনকার নানা কাজে লাগাইতে লাগাইতে উদ্ভিদ্‌বিজ্ঞান, জীববিদ্যা, পদার্থ তত্ত্ব ইত্যাদি আয়ত্ত করিয়া ফেলে।

 আমার প্রবর্ত্তিত নূতন শিক্ষা প্রণালীর সুবিধাগুলি বর্ণনা করিলাম! এই আদর্শে আমি টাস্কেজী বিদ্যালয় চালাইতে চেষ্টা করিয়াছিলাম। সুতরাং যখন নবগৃহ নির্ম্মাণের সুযোগ আসিল আমি ছাত্রদিগকেই এই কাজে লাগাইতে চাহিলাম। কেহ কেহ বলিলেন “ছাত্রেরা এখন মিস্ত্রীর কাজ জানেই না। কাঠ কাটিতেও তাহারা তত পটু নয়। ঘরামিগিরি করিবে কিরূপে? এত বড় ইমারত তৈয়ারী করা কি ইহাদের সাধ্য? পারিলেও যে, বাড়ীটা অতি বিশ্রী ও কদাকার দেখাইবে! আপনার এ পরামর্শ ভাল হয় নাই। সহর হইতে পাকা মিস্ত্রী ডাকিয়া আনাই উচিত। ছাত্রেরা না হয়, ইহাদের কাজে সাহায্য করিবার জন্য জল, হাতিয়ার, চূণ, সুরকি ইত্যাদি বহিয়া দিবে।”

 আমি আমার বন্ধুগণকে বলিতাম, “দেখুন, আমি বুঝিতেছি যে আমাদের বাড়ীটা ছেলেরা প্রস্তুত করিলে নিতান্তই কদাকার দেখাইবে। কিন্তু গৃহের সৌন্দর্য্যবিধানই কি আমাদের একমাত্র কর্ত্তব্য? নাই বা হইল বাড়ীটা দেখিতে সুশ্রী! কিন্তু ছেলেরা ত