সর্ব্বপ্রথম গৃহনির্ম্মাণ সময়ে ইট প্রস্তুত করিতেই আমাদিগকে বিশেষ ভুগিতে হইয়াছিল। আমাদের নিজের প্রয়োজন ছাড়া ইট তৈয়ারী করিবার আর একটা কারণও ছিল; আমাদের টাস্কেজী অঞ্চলে সেই সময়ে ইট গড়িবার কোন কারখানা ছিল না। অথচ বাজারে ইটের কাট্তি যথেষ্ট। কাজেই ইটের ব্যবসায় বেশ লাভ করা যাইত। এই লাভের আশায়ও আমি বিদ্যালয়ে ইটের কারবার খুলিতে ইচ্ছা করিলাম।
বাইবেলে পড়িয়াছি—ইজবেলদের শিশুরা বিনা খড় কূটায় ইট তৈয়ারী করিতে বাধ্য হইয়াছিল। আমি দেখিলাম আমাদের কাজ তাহা অপেক্ষা কম কষ্টকর নয়। কারণ প্রথমতঃ এ বিষয়ে আমাদের কাহারও কিঞ্চিৎ মাত্র অভিজ্ঞতা নাই। দ্বিতীয়তঃ তহবিলে এই ব্যবসা চালাইবার জন্য এক পয়সাও মজুত নাই।
তার পর, ইট গড়া কাজটাও নেহাত সোজা নয়। কাদামাটির গর্ত্তের মধ্যে ২। ৪ ঘণ্টা দাঁড়াইয়া কাজ করা বড়ই দুঃখ জনক। হাঁটু পর্য্যন্ত কাদা লাগিয়া থাকে। ছাত্রদিগকে এ কার্য্যে ব্রতী করিতে বড়ই বেগ পাইতে হইত। এতদিন তাহাদিগকে বুঝাইতে বুঝাইতে জমি চষিবার কাজে লাগান গিয়াছে। কিন্তু যখন এই কাদামাটি ঘাঁটিবার কাজ আসিল তখন তাহাদিগের সহিষ্ণুতা ও ধৈর্য্য রক্ষা করা অসম্ভব হইয়া পড়িল। লেখাপড়া শিখিতে আসিয়া শারীরিক পরিশ্রম করাই ত তাহারা আদৌ পছন্দ করিত না। তাহার উপর এইরূপ জঘন্য ও কষ্টকর