পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
অসাধ্য সাধন
১৬৫

কাজ করিতে তাহারা সম্পূর্ণরূপে নারাজ। কষ্টে দুঃখে অপমানে ও লজ্জায় অনেক ছাত্র আমাদের স্কুল ছাড়িয়া গেল।

 আমি পূর্ব্বে ভাবিয়াছিলাম ইট তৈয়ারী করিতে গেলে বেশী বিদ্যা বুদ্ধির প্রয়োজন হয় না। কিন্তু কাজে নামিয়া দেখিলাম, খুব পাকা হাত না হইলে ইট গড়া বড় কঠিন। প্রথমতঃ কাদামাটি প্রস্তুত করিতেও বিশেষ অভিজ্ঞতা চাই। আমরা এজন্য এক জায়গা হইতে অন্য জায়গায় আমাদের মাটির গর্ত্ত সরাইতে বাধ্য হইয়াছিলাম। শেষে একস্থানে বেশ ভাল মাটি পাওয়া গেল। সেইখানে ইট প্রস্তুত হইতে লাগিল। দ্বিতীয়তঃ ইট পোড়ান কাজ খুবই কঠিন। ২৫,০০০ ইট মাটি দিয়া প্রস্তুত করা হইল। কিন্তু এই গুলি পোড়াইতে যাইয়াই মহা বিপদ। আমরা একটা, দুইটা, তিনটা পাঁজা প্রস্তুত করিয়া তিন তিনবার অকৃতকার্য্য হইলাম। আমার কয়েক জন শিক্ষক হাম্পটনে ইট প্রস্তুত করিতে শিখিয়া ছিলেন। তাঁহারা তৃতীয় পাঁজাটা বিশেষ দক্ষতার সহিতই প্রস্তুত করিলেন। এক সপ্তাহ আমাদের ইটগুলি বেশ পুড়িতে লাগিল। ভাবিলাম এ যাত্রায় সফল নিশ্চয়ই হইব। কিন্তু সাত দিন পর রাত্রি ১২। ১ টার সময় পাঁজাটা ভাঙ্গিয়া গেল। আমরা তৃতীয়বার বিফল হইলাম।

 সকলেই বলিতে লাগিলেন, “আর চেষ্টা করিয়া কাজ নাই। ইট গড়া আমাদের দ্বারা হইবে না।” তাহার উপর আমার পয়সাও ফুরাইয়া আসিয়াছে। চতুর্থবার এক্‌স্‌পেরিমেণ্ট বা