পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/১৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৬৬
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

পরীক্ষা করিতে হইলেও টাকার প্রয়োজন। একে নৈরাশ্য তাহাতে দারিদ্র্য। পুনরায় চেষ্টা করা অসম্ভব মনে হইতে লাগিল। আমার একটা পুরাতন ঘড়ি ছিল। এই সময়ে সেটা একটা দোকানে বাঁধা রাখিয়া ৫০৲ ধার লইয়া আসিলাম। এই টাকার সাহায্যে ইটের পাঁজা তৈয়ারী করিতে যাওয়া গেল। এইবার কৃতকার্য্য হইলাম। এতদিন পর ২৫,০০০ ইট আমাদের কারখানায় তৈয়ারী হইল।


 আজ ইটের কারবার টাস্কেজী বিদ্যালয়ে খুব জোরের সহিতই চলিতেছে। গত বৎসর আমাদের ছাত্রেরা ১,২০০,০০০ ইট গড়িয়াছিল। এগুলি এত সুন্দর ও নিরেট যে আমি যে কোন বাজারে ফেলিয়া সর্ব্বোচ্চ মূল্য আদায় করিতে পারি। তাহা ছাড়া বিগত বিশ বৎসরের শিক্ষার ফলে, আজ আমেরিকার দক্ষিণ অঞ্চলে গণ্ডায় গণ্ডায় নিগ্রোযুবক ইটের ব্যবসায় করিয়া অন্নসংস্থান করিতেছে।

 ইটের কারবার করিতে করিতে আমার একটা নূতন দিকে দৃষ্টি পড়িল। আমাদের বিদ্যালয়ে বহু শেতাঙ্গ ব্যক্তি ইট খরিদ করিতে আসিত। তাহারা পূর্ব্বে আমাদের সঙ্গে বিশেষ কোন কথাবার্ত্তা বলিত না। কিন্তু অন্যত্র ইট পাওয়া যায় না। কাজেই ইহারা কৃষ্ণাঙ্গের সাহায্য লইতে বাধ্য হইল।

 আর পূর্ব্বে অনেক শ্বেতাঙ্গই ভাবিত যে, লেখা পড়া শিখিয়া নিগ্রোরা বাবু হইয়া পড়িবে। তাহারাও এখন বুঝিল যে, নিগ্রোরা এই জাতীয় বিদ্যালয় খুলিয়া সত্য সত্যই নিজেদের