পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/১৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮৪
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

অনুসারে সত্য সত্যই কাজ হইয়া থাকে। কাজেই তাহারা সংযত ধীর ও গম্ভীরভাবে সকল বিষয়ের মীমাংসা করিতে বাধ্য হয়। এইরূপে দায়িত্বপূর্ণ কার্য্য করিতে করিতে ভবিষ্যতের জন্য দায়িত্বজ্ঞান সঞ্চিত হয়। ক্রমশঃ তাহারা বড় বড় কাজ করিবার শক্তি অর্জ্জন করিতে পারে।

 যত লোকের মধ্যে এই কর্ত্তৃত্ববোধ জাগান যায় ততই সমাজের মঙ্গল। সকল মানুষকেই বুঝান উচিত “তুমি মানুষ। তোমার নিজের মাথা খাটাইয়া কাজ করিবার ক্ষমতা আছে, তোমার স্বাধীনভাবে চিন্তা করিবার শক্তি আছে। তুমি পরের সাহায্য না লইয়া কাজ ও চিন্তা করিতে থাক। তুমি কর্ত্তারূপে নানা অনুষ্ঠানের সৃষ্টি করিতে লাগিয়া যাও। তুমি কি সর্ব্বদা অপর লোকের কেরাণীমাত্র থাকিবে? তুমি কি পরকীয় চিন্তার অনুবাদক মাত্ররূপে জীবন কাটাইবে? না। তুমিও লোকজন খাটাইতে শিখ, তুমিও দশজনকে কাজে নামাইতে চেষ্টা কর। তুমি মানুষ, তুমি কর্ম্মকর্ত্তা হইবার আকাঙ্ক্ষা কর, ভিন্ন ভিন্ন কর্ম্মকেন্দ্র গড়িয়া তুলিবার জন্য উদ্যোগী হও।”

 আমার বিশ্বাস, কুলী ও মজুর মহলে যদি এইরূপে কর্ত্তৃত্ববোধ এবং দায়িত্বজ্ঞান জাগান যায় তাহা হইলে সমাজে বহু ধর্ম্মঘট, কুলীবিভ্রাট, অপব্যয়, উৎপীড়ন ইত্যাদি হইতে রক্ষা পাওয়া যায়। ধনবান্ মহাজনেরা এবং কলকারখানার মালিক মহাশয়েরা তাঁহাদের কর্ম্মচারী কেরাণী এবং শ্রমজীবীদিগকে এই কথা বলিতে অভ্যস্ত হইবেন না কি? একবার যদি তাঁহারা নিজেদের অহঙ্কার