পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/১৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিশ্বালয়ে বিশ্বশক্তি
১৮৫

ত্যাগ করিয়া কুলী মজুর কেরাণী ও কর্ম্মচারীদিগের সঙ্গে মিশিতে পারেন তাহা হইলে সমস্ত কারবার ও কারখানার মধ্যে একটা নূতন প্রাণ সৃষ্টি হয়। মালিকেরা বেতনপ্রাপ্ত কর্ম্মীদিগের পরামর্শ গ্রহণ করিলে আপনা আপনিই ইহারা কারবারটিকে কৃতকার্য্য করিয়া তুলিতে চেষ্টিত হইবে। তাহারা ইহাকে আপনার নিজের বলিয়া জ্ঞান করিবে।

 এই আত্মবোধ জাগাইবার উপায় আর কিছুই নয়। কেরাণী কুলী সকলেরই কর্ত্তৃত্ববোধ ও দায়িত্বজ্ঞান জন্মিলে এই কার্য্য সহজেই সিদ্ধ হইবে। এজন্য ইহাদের সঙ্গে মালিক মহাশয়দিগের সরল আলোচনা, কথাবার্ত্তা, পরামর্শ গ্রহণ এবং ভাবের আদান প্রদান আবশ্যক। অজস্র টাকা খরচ করিয়া যে ফললাভ না হয় সহৃদয়তার দ্বারা তাহা অপেক্ষা বেশী কাজ হয়, মুখের কথায় তাহা অপেক্ষা বেশী কাজ হয়, বিশ্বাস করিলে তাহা অপেক্ষা বেশী কাজ হয়। আমি যদি কখনও কাহাকে বিশ্বাস করি সে কখনই আমাকে বিপদে ফেলিতে পারিবে না। সে যদি বুঝে যে তাহার উপর নির্ভর করিয়া আমি কোন কাজে নামিয়াছি, সে যথাসাধ্য সেই কাজে লাগিয়া থাকিবে। বিশ্বাস সর্ব্বত্রই জয়লাভ করে—অবিশ্বাস ও সন্দিগ্ধ চিত্ততায় কখনও কাজ হয় না। বিশ্বাসের ক্ষমতা সকল সমাজেই দেখা যায়। নিগ্রোকে বিশ্বাস কর, তাহার দ্বারা অসাধ্য সাধন করিতে পারিবে। কুলী মজুরদিগের উপর যথার্থভাবে নির্ভর কর, তোমার কারবার কখনই বিফল হইবে না। এই বুঝিয়াই আমি আমার ছাত্রগণকে এত