পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বিশ্বালয়ে বিশ্বশক্তি
১৮৭

সবই বিশ্রী ও কদাকার হইত। পরে কারিগরিতে উন্নতি হইয়াছে। এখন সব জিনিষেই উচ্চ অঙ্গের শিল্প জ্ঞানের পরিচয় পাওয়া যায়। সুতরাং বিদ্যালয়ের আবহাওয়ার মধ্যে সৌন্দর্য্য বেশ আছে। অধিকন্তু এই সকল কারবার হইতে ব্যবসায়ও চলিতেছে—তাহাতে বিদ্যালয় চালাইবার খরচ কিছু কিছু উঠিয়া থাকে।

 আমি ছাত্রাবাসের প্রথম অবস্থায় ছাত্রদিগের স্বাস্থ্য সম্বন্ধে বিশেষ দৃষ্টি রাখিতাম। তাহাদিগকে প্রায়ই বলিতাম, “আমরা গরিব—থালাবাটি পর্য্যাপ্ত পরিমাণে নাই। আমাদের চেয়ার টেবিল, গদি খাট ইত্যাদি সবই বিশ্রী ও কোন রকমে চলনসই। লোকে এগুলি দেখিয়া দুঃখিত হইতে পারে—কিন্তু কেহই নিন্দা করিবে না। তাহারা জানে, পয়সা থাকিলেই আমরা বেশী দামে চক্‌চকে জিনিষ তৈয়ারী করিতে বা কিনিতে পারিতাম। কিন্তু পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা ত পয়সার জিনিষ নয়। উহা আমাদের যার যার নিজের হাতে! ইহার জন্য আমরা নিজেরাই দায়ী। আমরা যদি অপরিষ্কারভাবে গৃহস্থালী চালাই, বা চলিফিরি তাহার জন্য লোকেরা আমাদিগকে নিন্দা করিবে, তিরস্কার করিবে। এ-নিন্দা ও তিরস্কার এড়াইবার কোন উপায় থাকিবে না। আমাদের স্বভাবই ইহার জন্য দায়ী। অতএব লোকে যেন আমাদিগকে সর্ব্বদা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেখে।”

 এই শরীর পালন ও স্বাস্থ্য বিধান সম্পর্কে আর একটা কথা বলিব। আমি দাঁত মাজার গুণ সম্বন্ধে ছাত্রদিগকে সর্ব্বদা