পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/১৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আমার টাকা আসে কোথা হ’তে?
১৯১

বস্তু, নূতন ভাব মনের মধ্যে আসে। শ্রোতারা যেন বুঝে যে কতকগুলি কাজের কথা বলিতেছ।” বক্তৃতা করিবার নিয়ম ইহা অপেক্ষা আর কি ভাল হইতে পারে?

 নিউ-ইয়র্ক, ব্রুকলিন, বোষ্টন, ফিলাডেল্‌ফিয়া এবং অন্যান্য বড় সহরে টাস্কেজীর জন্য সভা হইল। সভায় অনেক লোক আসিত। আমরা দুই জনেই বক্তৃতা করিতাম। টাস্কেজী বিদ্যালয়ের উদ্দেশ্য ও কার্য্যপ্রণালী বিবৃত হইত। সঙ্গে সঙ্গে আলাবামাভবনের জন্যও ভিক্ষা করা হইত। লোকেরা সন্তুষ্টই হইত বুঝিতাম। একমাস এইরূপ সভা করিয়া মন্দ টাকা উঠে নাই। আমাদের প্রচার কার্য্যও খুব ভাল হইয়াছিল।

 পরে আমি অনেকবার একাকী ভিক্ষার ঝুলি লইয়া উত্তর অঞ্চলে বাহির হইয়াছি। বলিতে কি, গত ১৫ বৎসরের ভিতর অধিকাংশ কালই আমি টাস্কেজীর বাহিরে বাহিরে কাটাইয়াছি। বিদ্যালয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ-সম্বন্ধ বেশী রাখিতে পারি নাই। আমাদের নূতন নূতন বিভাগের উন্নতি করিবার জন্য অর্থাভাবে যুক্ত-রাজ্যের প্রদেশে প্রদেশে ঘুরিয়া বেড়াইতে হইয়াছে। এই বার আমরা অর্থসংগ্রহের অভিজ্ঞতা পাঠকগণকে কিছু বলিব।

 পরোপকারী এবং লোক-হিত-ব্রতধারী ব্যক্তি মাত্রেরই অর্থ সংগ্রহে বাহির হইতে হয়। বিদ্যাদানের জন্য, অথবা দরিদ্রের অভাব নিবারণের জন্য—যে জন্যই হউক, ভিক্ষা না করিলে বড় কাজ কখনই সমাধা হয় না। এরূপ বহু “ভিক্ষুকে”র সঙ্গে কার্য্যক্ষেত্রে আমার দেখা হইয়াছে। তাঁহারা অনেকেই আমাকে