পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/২০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯২
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

জিজ্ঞাসা করিয়া থাকেন, “মহাশয়, আপনি এত টাকা পান কোথা হইতে? লোকেরা আপনার কথায় কাণ দেয় কেন? তাহাদিগকে বুঝাইবার জন্য আপনি কিরূপ চেষ্টা করিয়া থাকেন? আপনার অর্থসংগ্রহ কার্য্যের কোন নিয়ম বা প্রণালী আছে কি? আমাদিগকে পরামর্শ দিলে বড়ই উপকৃত ও বাধিত হইব। কারণ আমরাও দুই একটা কাজের ভার লইয়া বিব্রত হইয়া পড়িয়াছি। লোকের সহানুভূতি কোন মতেই আকৃষ্ট করিতে পারিতেছি না। আপনার সঙ্গে দৈবক্রমে দেখা হইল ভালই হইয়াছে। আপনার প্রদর্শিত পথে চলিতে পারিলে আমাদের অর্থ-দৈন্য বোধ হয় ঘুচিতে পারিবে।”

 পরোপকার ও মানবসেবার উদ্দেশ্যে ভিক্ষা বৃত্তির জন্য কোন নিয়ম আছে কি না বলিতে পরি না। আমি সংসারে ঘুরিয়া “ভিক্ষা বিজ্ঞানের” দুইটি সূত্র মাত্র আবিষ্কার করিয়াছি। প্রথমতঃ তুমি যে কাজটা করিতেছ তাহা জগতে প্রচার করা আবশ্যক। এই প্রচার কার্য্যে তন্ময় হইয়া যাওয়া প্রয়োজন। নিজের সমগ্র চিন্তা এই প্রচারে প্রয়াগ করা কর্ত্তব্য। অধিকন্তু কেবল মাত্র কয়েকজন ব্যক্তি বিশেষের নিকট কার্য্যের পরিচয় দিলে চলিবে না। সাধারণ জনগণও যেনন তোমার আরব্ধ অনুষ্ঠান সম্বন্ধে জানিতে ও শুনিতে পায়। এজন্য দেশের মধ্যে যতগুলি কর্ম্মকেন্দ্র, সভা সমিতি, পরিষৎ, প্রতিষ্ঠান বা সঙ্ঘ বর্ত্তমান আছে সকলগুলির ভিতরই তোমার কর্ম্মের আন্দোলন পৌঁছাইবার চেষ্টা করা উচিত।