পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৯৪
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

এই চরিত্রবলেই জগৎকে পদানত করা যায়—বিশ্বশক্তিকে স্ববশে আনা যায়।

 যখনই কোন মহৎকর্ম্ম আরম্ভ কর, তখনই উহাতে তন্ময় হইয়া যাইবে—সেই কর্ম্মের মধ্যে নিজকে ডুবাইয়া ফেলিবে। নিজকে এই উপায়ে ভুলিতে না পারিলে অর্থাৎ কার্য্যকে তোমার কৃতিত্ব অপেক্ষা বেশী ভাল না বাসিলে তুমি সুখ পাইবে না— চিত্তের উদ্বেগও কমিবে না। তোমার জীবনের লক্ষ্যকে আন্তরিকভাবে ভালবাস, নিজের অহঙ্কার ভুলিয়া যাও, দেখিবে কর্ম্মের সুফলাভাবেও তুমি দুঃখিত না হইয়া থাকিতে পারিতেছ। কিন্তু যদি নিজকে সম্পূর্ণরূপে ভুলিতে না পার, তাহা হইলে তোমার কর্ম্মের বিফলতায় তুমি পাগল হইয়া পড়িবে।

 অতএব নিজকে ভুলিতে শিখ—নিজের অহঙ্কার বিসর্জ্জন দাও। যে ব্রত গ্রহণ করিয়াছ তাহাকে ধ্যান করিতে করিতে নিজের অস্তিত্ব বিস্মৃত হইয়া যাও। তবেই দেখিবে, অল্পমাত্র ফললাভেও চিত্তে শান্তি থাকিবে। চোখের সম্মুখে তোমার আরব্ধ কর্ম্ম নষ্ট হইয়া গেলেও তুমি আনন্দে থাকিতে পারিবে, এবং প্রয়োজন হইলে নূতন উৎসাহে নব নব কর্ম্ম আরম্ভ করিতে পারিবে।

 আমি টাস্কেজীর জন্য ভিক্ষায় বাহির হইয়া দেখিয়াছি অনেক লোকে ধনী লোকদিগকে তিরস্কার করেন। তাঁহারা বলেন “কি বলিব মহাশয়, এই বড় লোকগুলা যদি মানুষ হইত তাহা হইলে আমাদের একটা দুইটা অনুষ্ঠান কেন, একসঙ্গে ৫০টা কর্ম্মই