পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/২০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আমার টাকা আসে কোথা হ’তে?
১৯৭

আমাকে টাস্কেজী বিদ্যালয়ের গৃহ-নির্ম্মাণ-তহবিলে এবং অন্যান্য কাজে অর্থসাহায্য করিয়া আসিতেছেন। এতদ্ব্যতীত তাঁহাদের অন্যান্য দানও আছে।

 আজ আমি একটা কথা খোলাখুলি বলিব। অনেক কোটি টাকা আমার হাত দিয়া টাস্কেজীর জন্য জলের মত খরচ হইয়াছে—একথা কাহারও অজানা নাই। কিন্তু আমি বলিতে চাহি ইহা আমার “ভিক্ষা”লব্ধ টাকা নহে! আমি কখনও ‘ভিক্ষা’ করি নাই—আমি ‘ভিক্ষুক’ নহি! আমার অর্থসংগ্রহ কার্য্যকে আমি কোন মতেই ‘ভিক্ষা,’ ‘ভিক্ষুকবৃত্তি’ ইত্যাদি নামে অভিহিত করিতে পারিব না।

 আমি জানি, ‘ভিক্ষা’ করিলে টাকা পাওয়া যায় না। দিনরাত্রি বড় লোকের দরবারে বসিয়া অর্থ সাহায্যের কথা পাড়িলে অর্থ সংগ্রহ হয় না। যাঁহারা ঐরূপ করিয়া থাকেন তাঁহারা আত্মসম্মান-বোধহীন—সত্য সত্যই ভিক্ষুক। কিন্তু আমার আত্মসম্মানবোধ সর্ব্বদাই থাকে—আমি নিজকে কখনও কাহার নিকট ছোট করি না। আমি বুঝি, মানুষ মাত্রেরই কর্ত্তব্য জ্ঞান আছে, মানুষ মাত্রেরই সেবা-প্রবৃত্তি আছে, মানুষ মাত্রেই লোকের উপকার করিতে পারিলে সুখী হয়। সুতরাং কোন স্থানে একটা ভাল কাজ হইতেছে, একথা জানিতে পারিলেই সকলে সেদিকে দৃষ্টি দেয়। যাহার যে ক্ষমতা সে সেই উপায়ে তাহার সাহায্য করে। ধনী ধন দান করিতে উৎসাহী হন। বিদ্বান্ তাহার জন্য লোক-সমাজে সহানুভূতি সৃষ্টি করিয়া আত্ম-