পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/২০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আমার টাকা আসে কোথা হ’তে?
১৯৯

 অর্থসংগ্রহকার্য্যে ব্যাপৃত থাকিলে পরোক্ষ ভাবে একটা মস্ত লাভ হয়। সাংসারিক জ্ঞান খুব বাড়িয়া যায়—লোকচরিত্র বুঝিতে পারা যায়। অনেক লোকের সংশ্রবে আসিতে হয়—নানা কথা বুঝা যায়—নানা বিষয়ে অভিজ্ঞতা জন্মে। তাহা ছাড়া জগতের অনেক গুপ্ত মহাপুরুষ এবং চরিত্রবান্ নরনারীর সাক্ষাৎ লাভ হয়। যাঁহাদের নাম খবরের কাগজে উঠে না অথচ যাঁহারা পরহিত করিতে পারিলেই সুখী হন এরূপ অনেক মহাত্মার পরিচয় পাওয়া যায়। এই সকল লোকের সঙ্গে দুদণ্ড কথা বলিতে পারাও মহা সৌভাগ্যের বিষয়। আমি এরূপ দাতা ব্যক্তির সংশ্রবে আসিয়া বহুবার জীবন ধন্য করিয়াছি। আমি বোষ্টন-নগরের দুই একটি ঘটনা উল্লেখ করিতেছি। এক বাড়ীতে গৃহস্বামী বাহিরে গিয়াছিলেন। তাঁহার পত্নীর নিকট আমার সংবাদ পাঠান হইল। ইতিমধ্যে স্বামী আসিয়া উপস্থিত। আমাকে দেখিয়াই বিরক্ত ভাবে জিজ্ঞাসা করিলেন “কি চাই?” আমি আমার উদ্দেশ্য বুঝাইতে গেলাম। তিনি আরও ক্ষেপিয়া উঠিলেন। আমি আস্তে আস্তে সরিয়া পড়িলাম। এই বাড়ীর নিকটেই আর একজন ভদ্রলোকের কাছে গেলাম। আমার কথা শুনিবামাত্রই তিনি বেশ মোটা টাকার জন্য একটা চেক্‌ সহি করিয়া দিলেন। আমি তাঁহাকে ধন্যবাদদিবারও অবসর পাইলাম না। তিনি বলিতে লাগিলেন “আপনি আমাদেরই কার্য্য করিতেছেন। মহাশয়, আপনাকে সাহায্য করিবার সুযোগ পাইয়া আমি কৃতার্থ হইলাম।”