পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/২০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
২০০
নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর

 আমি বলিতে পারি যে, সংসার হইতে প্রথম শ্রেণীর লোক কমিয়া আসিতেছে, দ্বিতীয় শ্রেণীর লোক সংখ্যাই বাড়িতেছে। ধনী লোকেরা পরহিতব্রতধারী ব্যক্তিগণকে আর ‘ভিক্ষুক’ বা উৎপাত স্বরূপ মনে করেন না। তাঁহারা আমাদের মত লোককে সৎকর্ম্মের যন্ত্র ও উপলক্ষ্য স্বরূপ শ্রদ্ধা করেন। তাঁহাদেরই কর্ত্তব্য কর্ম্মের কিয়দংশ আমরা করিতেছি—এইরূপই আজকাল কার ধনী মহাত্মাগণের ধারণা জন্মিতেছে।

 বোষ্টন-নগরে যাঁহারই বাড়ীতে আমি প্রার্থী হইয়াছি তিনিই আমাকে বলিয়াছেন, “আপনার এই মহৎকর্ম্মের জন্য আমার নিকটেও আসিয়াছেন, এইজন্য আমি আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ দিতেছি। আপনার অনুগ্রহে আমিও একটা সৎকার্য্যে আমার ক্ষুদ্রশক্তি প্রয়োগের সুযোগ পাইলাম। এ অঞ্চলে ভবিষ্যতে আসিলে যেন আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়।” ধনী ব্যক্তিরা ধনদানের উপযুক্ত সুযোগ খুঁজিয়া থাকেন—এই বিশ্বাসই আমার দিন দিন বাড়িতেছে।

 প্রথম প্রথম অর্থসংগ্রহে বাহির হইয়া বড় কষ্টেই পড়িতাম। মনে আছে তখন উত্তর অঞ্চলের সহরে সহরে পল্লীতে পল্লীতে দিনরাত খাটিয়াও একটাকা মাত্র পাইতাম না। অনেক লোকের নিকট বড় আশা করিয়া যাইতাম কিন্তু তাঁহারা এক পয়সাও না দিয়া বিদায় করিতেন। এইরূপে নিষ্ফল ভাবে সপ্তাহের পর সপ্তাহ কাটিত। হঠাৎ দেখিতাম, যাহার নিকট কখনও কিছুমাত্র