পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/২০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আমার টাকা আসে কোথা হ’তে?
২০১

আশা করিতে পারি নাই সেই ব্যক্তিই সাহায্য দান করিয়া ভগ্নহৃদয়ে আশার আলোক বিকিরণ করিতেন।

 একদিন নানা লোকের পরামর্শে কনেষ্টিকাট প্রদেশের এক পল্লীতে ধনী ব্যক্তির শরণাপন্ন হইলাম। সহর হইতে প্রায় দুই মাইল দূরে তাঁহার গৃহ। সেইখানে শীতে ঝড়ে হাঁটিয়া গিয়া দেখা করিলাম। তিনি কত কথাই পাড়িলেন—অনেক গল্প হইল। কিন্তু একটি পয়সাও দিলেন না। আমি বুঝিলাম ইহাঁর নিকট প্রচার করাও কর্ত্তব্য ছিল। তাহাই করিয়াছি। নাই বা পাইলাম কিছু সাহায্য।

 কিন্তু দুই বৎসর পর এই ব্যক্তি আমার নিকট টাস্কেজীর ঠিকানায় পত্র লিখিলেন; “মহাশয়, এই পত্রের সঙ্গে নিউ ইয়র্ক ব্যাঙ্কের উপর আপনার নামে একখানা চেক্‌ সহি করিয়া দিলাম। চেকের মূল্য ৩০,০০০৲। আমি এই টাকা আপনার বিদ্যালয়ের জন্য উইল করিয়া রাখিয়াছিলাম। শেষে ভাবিয়াছি বাঁচিয়া থাকিতে থাকিতেই ইহা দিয়া যাওয়া ভাল। আপনি দুই বৎসর পূর্ব্বে আমার বাড়ীতে অনুগ্রহ পূর্ব্বক পদার্পণ করিয়াছিলেন সে কথা আপনার মনে থাকিতে পারে। সেদিনকার কথোপকথন আমি বেশ মনে রাখিয়াছি।”

 এই ৩০,০০০৲ টাকা আমার নিকট এক অতি দুঃসময়ে পৌঁছিয়াছিল। ইহা না পাইলে আমাদের যথেষ্ট ক্ষতিই হইত। পাইয়া আমাদের ঘাড়ের বোঝা অনেকটা হালকা হইয়াছিল।

 শ্রীযুক্ত কলিস্ হাণ্টিংডনকে রেল-বিভাগের কে না চিনে?