পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আমার টাকা আসে কোথা হ’তে?
২০৩

প্রচারক রেভারেণ্ড উইন্‌চেষ্টার ডোনাল্ড মহোদয়কে টাস্কেজীতে নিমন্ত্রণ করিয়াছিলাম। তাঁহার নিকট ধর্ম্মোপদেশ পাইবার ইচ্ছায় এইরূপ করা হইয়াছিল। তাঁহার সঙ্গে লোক জন অনেক আসিবে বুঝিতে পারিয়াছিলাম। তাহা ছাড়া বিদ্যালয়ের মধ্যেই মহাসমারোহ পড়িয়া গেল। কাজেই আমাদের ক্ষুদ্র ধর্ম্মমন্দিরে বক্তৃতার স্থানাভাব বিবেচনা করিয়া সামিয়ানা খাটাইয়া একটা ঘর তৈয়ারী করা হইল। লতাপাতা ফুলপত্রে গৃহ সুসজ্জিত করাও হইল। বক্তৃতা আরম্ভ হইবার পরক্ষণ হইতেই মহা বৃষ্টি পড়িতে লাগিল। ডোনাল্ড মহোদয় ভিজিতে লাগিলেন। আমাদের একজন আসিয়া তাঁহার মাথায় ছাতা ধরিল। অনেকক্ষণ পর বৃষ্টি থামিলে আবার বক্তৃতা হইল। শেষে সভা হইয়া গেলে পোষাক পরিবর্ত্তন করিতে করিতে ডোনাল্ড মহোদয় বলিলেন—“ওয়াশিংটন মহাশয় টাস্কেজীর যে বিরাট ব্যাপার দেখিতেছি, এখানে একটা বড় ধর্ম্মমন্দির থাকা আবশ্যক।”

 একথা অবশ্য প্রচারিত হইবার সময় ছিল না। মহা বিস্ময়ের কথা—পরদিন সকালেই ইটালী হইতে একখানা পত্র পাইলাম। দুই জন রমণী লিখিয়াছেন তাঁহারা আমাদের ধর্ম্মমন্দিরের জন্য সকল অর্থব্যয়ের ভার বহন করিবেন।

 সম্প্রতি য়্যাণ্ড্রু কার্ণেজি মহোদয়ের নিকট আমি ৬০,০০০৲ টাকা পাইয়াছি। এই টাকার দ্বারা গ্রন্থশালা নির্ম্মাণ করিতে হইবে—তাঁহার এইরূপ ইচ্ছা। এতদিন আমাদের গ্রন্থশালা ছিল না বলিলেই চলে। সেই পোড়োবাড়ীর এক কোণে কতক-