পাতা:নিগ্রোজাতির কর্ম্মবীর - বিনয়কুমার সরকার (১৯১৪).pdf/২১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আমার টাকা আসে কোথা হ’তে?
২০৭

হইয়াছে। আমার মতে, এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুষ্টিলাভেই অনুষ্ঠানগুলি ‘জাতীয়’ এবং সর্ব্বজনপ্রিয় হইয়া উঠে। ইহার দ্বারাই প্রতিষ্ঠান ও কর্ম্মকেন্দ্রগুলি গণশক্তির উপর দাঁড়াইয়া যায়—দেশের জনসাধারণ এইগুলিকে আপনার নিজের সম্পত্তি বলিয়া গৌরব অনুভব করিতে পারে।

 দরিদ্র লোকেরা এক পয়সা, দুই আনা, চৌদ্দপয়সা, বা একটা জামা, দুটা আলু, একটা শূকর বা খানিকটা চিনি ও নুন মাত্র দান করিতে পারে সত্য। কিন্তু এইগুলির সমবায়ে কম অর্থ সঞ্চিত হয় না। অধিকন্তু, এই নগন্য দানের অন্যবিধ মূল্যও অসীম। কারণ ইহাতে নিরন্ন, বিদ্যাহীন, অশিক্ষিত, অর্দ্ধশিক্ষিত অথবা নিতান্ত দরিদ্র লোকের পূর্ণ হৃদয়ই থাকে। এই ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দানের সঙ্গে আমরা অনেকগুলি হৃদয় ও প্রাণ আমাদের কর্ম্মকেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য লাভ করি। এতগুলি হৃদয়ের রাজা হইতে পারা কি কম সৌভাগ্যের কথা? এই মূল্যবান্ হৃদয়গুলিকে ভবিষ্যতে সৎকর্ম্মের জন্য চালিত করিতে পারিলে কি সমাজের কম মঙ্গল সাধিত হইতে পারে?

 এই জন্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দানগুলিকে আমি চিরকাল ভক্তিভাবে গ্রহণ করিয়া আসিয়াছি। এই গুলিকেই আমি টাস্কেজী-বিদ্যালয়ের ভিত্তি বিবেচনা করিয়া থাকি। ইহাদের সাহায্যে ‘চটক্’ দেখাইবার উপযুক্ত, বা লোক দেখান বড় কিছু গৃহ বা আসবাব ইত্যাদি সৃষ্টি করিতে পারি নাই সত্য। কিন্তু জন সমাজের অগোচরে থাকিয়া,—আমাদের অন্তর্য্যামীভাবে জন-