সেই শিক্ষাপরিষদের এক অধিবেশনে আমাকে বক্তৃতা দিতে হইল। প্রায় ৪০০০ লোক উপস্থিত ছিল। আলাবামা প্রদেশেরও কোন কোন শ্বেতাঙ্গ, এমনকি টাস্কেজী নগরেরও কেহ কেহ সভায় আসিয়াছিলেন। এই শ্বেতাঙ্গেরা বক্তৃতার শেষে আমাকে বলিলেন “ওয়াশিংটন মহাশয়, আপনার উদারতা দেখিয়া আমরা বড়ই প্রীত হইয়াছি। ভাবিয়াছিলাম, আপনি উত্তর অঞ্চলে আদর আপ্যায়ন পাইয়া আমাদের দক্ষিণ অঞ্চলের শ্বেতাঙ্গদিগকে যার পর নাই গালি দিবেন। কিন্তু আপনার বক্তৃতায় বিদ্বেষের লেশ মাত্র নাই। আপনার চরিত্রবত্তায় আমরা অনেক শিক্ষা পাইলাম।”
আমি দক্ষিণ অঞ্চলের শ্বেতাঙ্গদিগকে তিরস্কার করিব কেন? আমি যে তাঁহাদিগের নিকট সত্য সত্যই ঋণী। আমার বক্তৃতার সারমর্ম্ম একটি শ্বেতাঙ্গ রমণী কোন সংবাদ পত্রে পাঠাইয়াছিলেন। তিনি প্রকাশ করিয়াছেন “ওয়াশিংটনের বক্তৃতা অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী এবং উদারতার পরিচায়ক। তিনি দক্ষিণ প্রান্তের শ্বেতাঙ্গদিগকে কিছুমাত্র গালি দেন নাই—বরং টাস্কেজী বিদ্যালয়ের পক্ষ হইতে তাঁহাদিগকে কৃতজ্ঞতা জানাইয়াছেন।”
আমার এই ম্যাডিসন বক্তৃতায়ই সর্ব্বপ্রথম কৃষ্ণাঙ্গ-শ্বেতাঙ্গ সমস্যার আলোচনা করি। ইহার পূর্ব্বে এ সকল কথা কোন প্রকাশ্য সভায় কখনও তুলি নাই। শিক্ষাবিষয়ক বক্তৃতাই এতদিন দিয়া আসিয়াছি, এবং টাস্কেজী বিদ্যালয়ের কার্য্যপ্রণালীই সকলকে জানাইয়া আসিয়াছি। এইবার সত্যসত্যই রাষ্ট্রীয়